জীবনটা খসে পড়ুক,
মহাজাগতিক তারা খসার মতো।
সরে যাবে চিরতরে;
তবু গতিশীল ক্ষণতরে।
অনস্তিত্ব পাওয়ার আগে
শেষতম সংগ্রাম!
পৃথিবীটা তবু নিয়মিত ঘুরে যাবে,
কেন্দ্র পথে।
স্কাইস্ক্রেপারের আড়ালে থাকবে সূর্য-চন্দ্র,
ক্লান্তিহীন মানবের পিছন পিছন;
দৌড়বে ঝাঁ চকচকে শহর।
যন্ত্রের হর্ষধ্বনিতে মুখরিত থাকবে
চারিদিক।
ঠিক একই ভাবে দিনরাত্রি
যাপন করবে শহর।
আর---
সোনাজরি জামা গায়ের
ধানক্ষেত দেখে;
কেউ আশায় বাঁধবে  বুক।
বোরজের ফাঁক দিয়ে রাঙারোদ;
গুনে নেবে পানপাতা,
ঘূর্ণায়মান দারিদ্র্যতায়
আক্ষেপ না রাখা রমণী,
হেঁটে যাবে মেঠোপথ বেয়ে,
ডুব দেবে কোনো এক
পানা জমা পুকুরে!
উনুনের ধোঁয়া ধরা ভাতে,
মিশে যাবে করুণা ও প্রীতি।
গহীন অন্ধকার এলে,
অসমাপ্ত চিলেকোঠা জুড়ে
ঠিক-ভুল প্রশ্নচিহ্ণ দেবে উঁকি!
বাকি কিছু স্বপ্নেরা,
থেকে যাবে বাকি।
যেভাবে ঝড়ে;
শিকড় বিচ্ছিন্ন হয় গাছ!
অসমাপ্ত নিদ্রায়;
ভঙ্গ হয় স্বপ্নেরা!
ঠিক সেভাবেই..