শিল্পের আঘ্রাণে পৃথিবীর কণা কণা,
ঢেকেছিল বিষাক্ত আস্তরণে।
সে অনুভব করেছিল বিষের তীব্রতা,
যন্ত্র উল্লাস দুর্বিষহ করেছিল
তার অস্তিত্ব!
ক্রমশ তার বুকের থেকে
উঠে আসত চাপা দীর্ঘশ্বাস।
তবু সে প্রতিবাদ করেনি,
সহ্য করেছে মুখ বুজে।
আর পাঁচটা জীবের মধ্যে
সে যে ভালোবেসেছিল মানুষকে..
ঠিক যেমন আর পাঁচটা,
রোগের মত এসেছিল করোনা!
মানুষের প্রাণভোমরার খোঁজে!
হদিশ পেল,
শরীরের টানেল দিয়ে ভিতরে প্রবেশপথ!
পরিণামে মানুষ পেল,
মৃত্যুর হাহাকার..
জীবনাকাঙ্খায়
নিজেকে ঘর বন্ধ করে,
প্রহর গোনে আগামীর..
পৃথিবী তার ধূলি-ধূসরিত বেশ ছেড়ে,
এখন পরেছে গাঢ় সবুজ।
বুক ভরে নেয় শ্বাস।
তবু তার মুখ মেঘলা রোজ;
দিনের শেষে,
জাফরান রঙের সূর্যের কাছে;
সে রোজ কাঁদে!
কারণ কে জানে!!
হয়তোবা আজো প্রেম বেঁচে আছে
মনের গভীরে..
হয়তো দেখতে চায় নিরোগ মানুষের মুক্তি উল্লাস..
নিজের শ্বাস বায়ু বন্ধ করেও..
কেননা,
সে যে ভালোবেসেছিল,
মানুষকে!