রাতের নীরবতায় খুঁজে পাই সেই চিরউদাস মনের এক চিলতে কোনা,
রং ছিল সবুজ তাঁর ,ঠিকানা লেখা ছিল গভীর নীল আকাশ-
হঠাত একদিন উড়ে এল মায়া পাখী গভীর গোপনে-
উচাটন মনে এল এক দোলা , প্রকৃতির শিশু নেমে এল-
বেমানান ধরিত্রীর কোলে, অজানা অচানা মায়াজালের মাঝে।
দিকহারা সেই সৃষ্টিছাড়ার ভাগ্যরেখায় পড়লো আকিবুঁকি-
কথার বুননে আশার ছলনে মনের দেওয়ালে খালি উকিঝুঁকি,
একদিন সে তো ধরা দিল মায়াজালে পৃথিবীর আকাশে মুছে দিয়ে নাম,
নতুন পরিচয়ে হেসে খেলে নড়ে চড়ে বেরানো মানুষের অবয়ব,
দিকভ্রান্ত পথিকের মনের আয়নায় কেউ যে পড়ে দেখেনি কোন দিন।
জীবনের জোয়ারে ভেসে যায় সেই বাঁধন ছেড়া অতিমানবের ছায়া-
এপাড় ওপাড় দেখে সাঁতরে ভেসে থাকা অস্তিত্বের ইচ্ছেবন্দী প্রকৃতির শিশু,
শত কোলাহলের মাঝে একাকী হাসিমুখ উচ্ছলপ্রাণ এক দিশাহীন অবয়ব,
মাঝরাতে প্রাণভরে নেয় বাতাসের গন্ধ আর ফিরে যেতে চায় সেই তারাভরা আকাশের কোলে,
বিধাতার লেখা এপিটাফে লেখা ছিল মুক্তির একাকীত্ব ফিরে পাওয়ার অঙ্গীকার।