শত সহস্র আলোকবর্ষ দুরের ছায়াপথে আমি খুঁজে ফিরি মিলিয়ে যাওয়া পদরেখা,
সহস্র ভীড়ের মাঝে ভেসে ওঠে হারিয়ে যাওয়া সেই মুখ,
তাঁর আয়ত চোখের কাজল তারায় দেখা প্রতীক্ষিত প্রতিবিম্ব-
সমুদ্রপাড়ের ভেজা বালুকনায় দেখে ফিরি নৃত্যের পদক্ষেপ,
পাইন বনের শিরশিরে হাওয়ায় শুনতে পাই রিনিঝিনি।


জীবন নাটকের প্রতিটি অঙ্কের দৃশ্যে গভীর অভিনয়ের অভিক্ষেপ,
শিল্পীর তুলির টানে আঁকা ঠোটের কোনে  ঝোলা মসৃণ হাসির এক ফালি,
স্বপ্নের প্রতিটি ভাঁজে শুধু স্পর্শ গন্ধের মাতাল করা আবেশ,
এক আকাশ মেঘের  বন্যায় উড়ে যাওয়া বকের পাখায় একে দেওয়া নাম,
উড়ে যাওয়া আঁচলের দিশায় শুকতারার হাসি এনে দেয় অনাহুত রক্তের কলরোল ।


আবার মাঝরাতের নৈঃশব্দ এনে দেয় একরাশ একাকীত্বের উপভোগ,
স্বপ্নের প্রতিটি ভাঁজে দৃশ্যাঙ্কে ফিরে আসে একরাশ আবেগঘন দৃষ্টির ছোয়া,
নাকছাবির হীরক্দ্যুতি হার মানায় বনজ্যোত্স্নার বন্যায় ভেসে যাওয়া পৃথিবীর কোল,
খোলা জানলার ধারে দাড়ানো অবিশ্বাসীর মনে নৈসর্গ ফিরিয়ে আনে বিশ্বাসের ছোঁয়া -
শুধু শুন্যতার মাঝে কিস্ছু শব্দের আশায় নিদ্রাহীন রাতের অনুক্ষণ।