বেগুনি ছায়ার মতো স্বচ্ছ কালো জলে
রূপালী নদীর বুকে
বন হংস টা হয়েই উঠেছিল একটা পুরুষ
আর বন হংসী টা যেন একটা নারী।
নদীর শব্দের সাথে জড়িয়ে ছিল ওদের সেই
সোনালী প্রেমের গল্প;
কখনো হিজল বনের শুভ্র ছায়ায়
কখনো সারি সারি ঐ পদ্মের পাতায়
কখনোও শুভ্র কাশফুলের আড়ালে
শরৎ কালে মেঘের মতো ভেসে যাওয়া
দূরে আরও বহু দূরে দুজনে কাছাকাছি
কিছু কথা কানে কানে ফিসফিস করে
নির্জন নীরবতা আসে হৃদয়ে নীড়ে
প্রেমে আলিঙ্গনে কামনার সুর উঠে  
বন হংস আর বন হংসীর  অপলক দু  চোখে
ঠোঁট আর পালকের মুগ্ধ আরম্ভর
মিশে থাকা দুজনে নিস্তব্ধ নীল গাছের পাতায়।।
তারপর বিছালীর খড় জড়ো করে
রেশমের মতো ডিম দেয় বন হংসী,
আকাশে বাতাসে যেন ভরে ওঠে আনন্দের ঘণ্টা।
অতঃপর আসে সাইক্লোন এর মতো ধ্বংস করা সেই ঝড়  
আশা, প্রেম, স্বাদ, স্বপ্ন ভাঙে চারদিকে
যন্ত্রণা আর বিষাদে ভরে ওঠে বাতাস.......;
তাই আজো বন হংসী খুঁজে ফেরে তার
জ্যোৎস্নায় ভরা প্রেমিক।।