******************


ধনলোভী রাক্ষসরা আজকে দেখায় প্রলোভন
পাষণ্ড ধরেছে দেখ বন্ধু উদারের আবরণ।
লোভীর কুৎসিত হাত সিন্ডিকেট করে শেষে
লুঠতরাজের হাট বাজার বসাল সারা দেশে।


কাগজে মগজে ধূর্ত বুদ্ধিজীবীরাও ব্যর্থ আজ
গরিবের শাঁস শুষে খায় আজকে শকুন আর বাজ।
অভুক্ত শিশুর কান্না আজ মেটেনা ক্ষুধার জ্বালা
রাক্ষসেরা আজ সব করে শেষ; শূন্য বাটি থালা।


এ কোন দৈত্য দানব আজ হানা দিল সারাদেশে  
সোনার বাংলা হবে কি কাঠ তবে মন্বন্তর এসে?
একী কুৎসিত মূর্তিরা; সব খেয়ে করে ফেলে শেষ
মানুষ কি ওরা, আজ ধরেছে যারা দৈত্যের বেশ?


কই রে তোরা বুভুক্ষু-রাক্ষস বৈরী, এই বাংলার
দৈন্যতা দেখেছ বাঙালির,দেখনিতো বাঙালির মার
বাঙালির ঐ যৌবন দেখেছে বাহান্ন, ঊনসত্তর
ক্ষিপ্রতা দেখেছে বাঙালীর আটষট্টি, একাত্তর।


একাত্তরের তারুণ্য শক্তি উদ্ধত হও আবার
জালিমের কালো হাত জ্বলেপুড়ে হোক ছারখার।।
হে যৌবন দীপ্ত প্রাণ আবারও হাতে রাখ হাত
আবার হানো পাষণ্ডের বুকে সুতীক্ষ্ণ করাঘাত।