যেন পৃথিবীটা থেমে আছে,
এক পায়ে দাঁড়িয়েই থাকা কিছু ভাঙ্গা-
দেয়ালে বিস্তৃত শূন্যতায় স্মৃতি পদচিহ্ন হয়ে,
সর্বত্র স্মৃতি জড়ানো খা খা করিডোর,
কিছু মুঘল আমলের খসে পরা
ইট-কংক্রিট, শুয়ে থাকা ঘাসের পিঠে।


একদা যেখানে মুখর হয়ে থাকত
মানুষের পদচিহ্ন,
যেখানে জমিদার আনন্দ কিশোরের দাপটে
পায়ের জুতা খুলে হাঁটতে হতো নগ্ন পায়ে,
আজ সেখানেই মল ত্যাগে ব্যস্ত কিছু-
বাদুড়, ইঁদুর, সাপ, শেয়াল, চড়াই।


হাত বদল হচ্ছে সবকিছুর
হাত বদল হচ্ছে ইট-কংক্রিটের;
তবুও অন্ধকারের অনেক কিছুই যেন
বলে যেতে চায়।


বলে যেতে চায়-
ভাঙ্গা প্রাসাদের অন্দরের কিছু কান্না...,
অত্যাচারের পৃষ্ঠ হওয়া মানুষের আহাজারি,
গর্বিত গ্রীবায় জমিদারের ভাঁজ হওয়া
মেদমত্ত, অযৌক্তিক কিছু অহংকার,
অন্তিম নৃত্যের শেষে ভোগ করা
নাভির সামান্য নীচে কালো চাঁদ,
খোলা স্তনগুচ্ছ,
শব্দহীন রূপসীর শরীরের
ক্ষতচিহ্ন, চুপসে থাকা নর্তকী।।


সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নেয়া
কল্পনার রাজ-শিশু,
জীবনের নশ্বর শরীর ছুঁয়ে যুবতীর
বুকের উদ্ভাসে ঠাঁই দেয়া গোপন প্রেমিক।

এখন সব শান্ত একাকী ঘুমিয়ে আছ...
দামি আসবাব, চাদর, মাদুর,
দাপট, অহংকার, ভালোবাসা,
সব, সবকিছু।


এখন বিস্তৃতির অতলে শুধুই স্মৃতিতে
পড়ে আছে গৌরীপুর জমিদার বাড়ি।।