হে তরুণ প্রাণ! হও জাগ্রত এবার; আর কত-
শীতল হবে; গোপন-প্রিয়ার বুকে মুখ লুকিয়ে?


আগ্নেয়গিরি দেখনি তুমি?
বুকে কেমন পুঞ্জীভূত ফুটন্ত লাভা
শান্ত থেকে থেকে হটাৎ করে কেমন ছড়িয়ে পড়ে
পাহাড়ের চারদিকে মৃদু-ধোঁয়ার অবগুণ্ঠন
দেখনি কি তার স্পর্ধা?
কেমন করে জ্বালিয়ে দেয় কত শহর নগর
বিস্ফোরণের ফোয়ারা; ডুবে যায় কত জনপদ।


অথবা দেশলাইয়ের কাঠি দেখনি?
অতি নগণ্য যেন তা চোখেও পড়ে না
তবুও বুকে কেমন উসখুস করছে বারুদ,
যেন জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস
এক নিমেষে পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে পারে
কত জনপদ, গ্রাম, গঞ্জ দিগন্ত থেকে দিগন্ত।।


ভূমিকা চাই না আর, তবে এবার  উদ্ধত হও
জেগে উঠ ঘুম ভেঙ্গে;
হুঙ্কারে মুক্ত করো কুটি অবরুদ্ধের;
সন্ধিপত্র দু’পায়ে মাড়িয়ে
হাতে হাতে নাও দেনা-পাওনার খাতা;


প্রতিজ্ঞাবদ্ধ  হও হে তরুণ ধূর্জটি !
আজকে ক্ষতবিক্ষত হোক জালিমেরই ভ্রুকুটি।।