হাজার বছর ধরে তাঁতী যেমন অতীব যত্নে
বুনে দীর্ঘ শাড়ির আঁচল।
তেমনি আমি একটু একটু করে অতিই
আদরে বুনে ছিলাম যেই স্বপ্ন-
তোমার অতি জটিল ভালোবাসার কম্পনে,
নিথর তা আজ চেলা কাঠের মতোই  
টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।


বালুময় তটিনীর মরীচিকার প্রান্তরে
আষাঢ়ে জোয়ার এসে যেমন থইথই করে,
তেমনি তুমি আমার এ জীবনে এসেছিলে।
এনে ছিলে তুমি অতি বর্ষণের থইথই সুখ,
হরিণের চোখে যেমন ফাল্গুনের জ্যোৎস্নার
ভিতরে ঘন অরণ্যে পল্লবিত হরিৎ পাতা।


তারপর সূর্যের আড়ালে যে জমেছে-
মেঘের ক্লেশ আকাশের আলপনায়;
অতি ঝড়ো হাওয়ার ভিতর ধূসর ঐ পৃথিবী;
রঙের খেলায় স্তব্ধ নাম বিহীন এক যুবক।
হৃদয় পোড়ানো গন্ধে মাতাল করে
আঁধারে আঁধারে।
তারপরও যে স্বপ্ন দেখি সোনালী রোদ্দুর।।