আমার কৈশোরের ডায়েরির পাতাটা উল্টাতেই
এক এলো কেশী দুরন্ত বালিকা
আমার হৃদয়ের উঠান জুড়ে হাঁটতে লাগলো
নরম ঘাসের উপর পা ফেলে চলার মতোই
আলতো পায়ে হাঁটতে থাকে অবিরাম;
আমি ডুবে যাই উষ্ণতায়,
আমার চোখের ভেতর নেমে আসে রোদ্দুর
হৃদয় জুড়েই ভেসে উঠে
অশরীরী সব চিত্রনাট্য, পঙক্তিমালা..
মনের ভিতরই নেচে ওঠে মন ময়ূরী
আর বুকের ভেতর ভেসে উঠে
পদ্মের মতো কোমল এক বালিকার মুখ।

আমার কৈশোরের ডায়েরির পাতাটা উল্টাতেই
বেরিয়ে আসে একটা নদী
আহা আমার শৈশবেরই নদী
নদীর তীরে ভেজা সকাল
ঘাসের উপর শিশিরের বিন্দু
চুপচাপ বসে থাকি কিছুক্ষণ
আমরা দুজন
নদী তবু বয়ে চলে দুরে....
আরো দুরে দুজনার মনে,
আজও আমি যেন শুনি সেই নদীর
বয়ে চলা কলকল ধ্বনি।।