ক্লান্ত বিকেল তখন গোধূলি সীমান্তে
হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছি কখন যে অজান্তে,
কোন এক বাগানের মাঝে
ফুল ফল পাখি আর প্রজাপতি সাজে
অপূর্ব ভালো লাগায় দেখছি সৌন্দর্য
প্রকৃতির মাঝে কত রূপের ঐশ্বর্য
হঠাৎ একটি সুর কি মধুর রাগিণী
শুনে মনে হল কত জন্ম ধরে তাকে যেন চিনি,
মেয়েটি আলতা রাঙা পায়ে হঠাৎ ধীরে  
বলল এসে কাছেতে ফিরে  
এই তুমি আবির না?
আহা কি মস্ত  হয়েছে চেনাও যায় না !
আমি হত বাক হয়ে চেয়ে আছি কিনা
আমার স্তব্ধতা ভেঙ্গে বলে আরে বুদ্ধু আমি ধীনা।
হঠাৎ যেন কেন বুকের ভেতর ধুক করে ওঠে
চিনতে পারব নাকো আবার তা বটে?


জীবন গিয়েছে চলে জীবনের নিয়মের তরে
আমাদের দেখা হলো যেন পনেরো বছরে পরে।


আজও কত যে মনে পড়ে সে দিন গুলোর কথা?
কত স্মৃতি কত ব্যথা
মনে পড়ে সে আমার হাতে কত মার খেয়েছে সেদিন?
আজও শরীরে  চিহ্ন হয়তো আছে দুই কি তিন;
মনে পড়ে সেই আম কুড়ানোর মাঠ,
গ্রামের ঐ মেটু পথ, সেই  পুকুর ঘাট,
সেই নদী- নৌকা, কেয়া ঘাট !
বাড়ির উঠানে ফুল গাছটা, শিমুল তলি হাট;
আমি সেজে ছিলাম বর আর সে সেজেছিল কনে
সে কথা ছড়িয়ে পড়ে ছিল জনে জনে।  


তারপর সময় যে মুছে ফেলে সময়ের হাত
সূর্যেরই শক্তি ক্ষয়ে গলিত মোমের বাজিমাত।
প্রদীপের আলোড়ন হয়ে আলোকিত চারিধার
হাজার বছর কেটে গেল নীলিমার।
সোনালী চিল শিকার করে কবে! নিয়ে গেছে তারে,
শুধু আমি পড়ে আছি প্রদীপের নিচে ঐ আঁধারে।


শুনলাম সে আজ নাকি পাক্কা গৃহিণী
তিন বাচ্চার মা হওয়া কি তবে কথা চাট্টি খানি।
অনেক কথার শেষে আমি অবশেষে-
ফিরে এলাম বিদায় নিয়ে বাই-বাই বলে হেসে।  
একটি বার যাকে না দেখে কাটতো না দিনরাত
আজ হেসে চলে এলাম সময়ের কি করাঘাত!
আমি আর হই না যেন নস্টালজিক
চলুক না এভাবেই যত দিন চলে টিক টিক।।