আজ সহস্র শতাব্দী শেষে
নির্মল রৌদ্রের প্রভাতে
হঠাৎই তোমাকে দেখলাম
কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙের
সাজানো লাল শাড়ীতে;
তোমার স্নিগ্ধ মায়ায় ভরা মুখে
স্মিত আলো যেন খেলা করে গেল
মুহূর্তেই আমার আমি’তে
শিশিরের হিম ছুঁয়ে দিয়ে
আমাকে মাতাল করে দিল।


একদিন তুমি ছিলে আমার সমস্ত
সত্তা জুড়ে;
আমার ভিতর আমার বাহির সব ছিলে।
তুমি ছিলে আমারই কবিতার
উপমার  রাত্রি দিন হয়ে।
আমার স্বপ্নে ভরা বিমূর্ত সন্ধ্যা হয়ে
আমার ভিতরের আমিতে
ছিলে তুমি,
আমার প্রতিটি ক্ষণে
আমার বেঁচে থাকার
প্রতিটি মুহূর্তে যেন তোমার সুষমা
ভরা হাত দুটি ছুঁয়ে থাকত।


আমি জানি আজ তোমার হৃদয়ে  
যে গোলাপ ফোঁটে সেটা আমার জন্য নয়;
আমার ললাটের লিখনে-
এত বড় রাজটিকা নেই।


আমি জানি আমার রক্তাক্ত
হৃদয়ের তীব্র হাহাকার
রক্ত ক্ষরণের তীব্র ব্যঞ্জনা
তোমার চোখে পরবে না কোনদিন।


আমি জানি আমার কালো আকাশের
মেঘমেদুর সরিয়ে বিমর্ষ বিকেলের ক্ষণে
তুমি আর ফিরে আসবে না,
নীল শাড়ি পড়ে দুরন্ত বালিকার মত
খোলা চুলে বালিয়াড়িতে খালি পায়ে-
হেঁটে হেঁটে আমার হৃদয়ের মাঠে।


তবুও আমি অনন্ত অপেক্ষায় আছি
যদি কোন একদিন ফিরে আসো
আমার তীব্র রক্ত ক্ষরণে সিক্ত এই বুকে।।