প্রিয় অস্পর্শিনী,
জানি তুমি খুব ভালো আছো,
শুধু আমার পুড়া আঁখি তার গহনের
বৃষ্টির ফোঁটা ঝরিয়ে, গুনে গুনে কত
বসন্ত বিকেল পার করে দিয়েছে
তোমার স্পর্শ হীন ভাবে
তা শুধু আমিই জানি।
শুধু জানিনা তুমিও কি তোমার বাসন্তী
বিকেলগুলো কাটিয়েছ কিনা বেলি ফুল
খোপায় না গুঁজেই?


আচ্ছা এখনো কি তুমি কপালে টিপ দাও?
খোপায় গুঁজ সাদা বেলি ফুল?
নাকি অগোছালো হয়ে গেছো আমার মত?
বৃষ্টি হলে এখনো কি তুমি ছাঁদে
বৃষ্টিতে ভিজতে যাও?
খুব জানতে ইচ্ছে করে!
আমার ভিতরের আমিতে সারাক্ষণ
যেন প্রশ্ন গুলো জেগে থাকে।


মনে পড়ে কি তোমার সাথে প্রথম দেখা?
আজও ভুলতে পারিনি তোমার রোদ্দুরের
হাসি মাখা মুখ খানি,
চাঁদ থেকে যেন সবটুকু জোছনা এনে
তোমার গায়ে মেখে ছিলে..
দেখেছিলাম তোমার দু চোখ ভরা
অদ্ভুত এক মায়া,
তোমার দীঘল কালো চুলে,
গম্ভীর কালো মেঘ আর দখিনা হাওয়া
যেন পাল্লা দিত।
মুহূর্তেই আমি মাতাল হয়ে যেতাম
তোমার প্রেমে।


এখন আমার রাত গুলো একা
একা কেটে যায়,
মাঝে মাঝে দু একটা লক্ষ্মী পেঁচা
ডেকে উঠে অথবা একটা শিয়াল
করুন সুরে ডেকে ওঠে রাতের
নিস্তব্ধতা ভেঙে আমার সাথী হয়ে।
আমি একা একা ঘুরি রাত বিরাতের
জোছনার আঁধারে।
কোজাগরী রাতের জোছনার প্লাবনে
আমি খুঁজে বেড়াই তোমার স্নিগ্ধ ঘ্রাণ।
নিঃস্ব একা একটা গাঙচিল যেমন উড়ে
বেড়ায় কোন সীমানা রেখা না রেখেই
তেমনি আমি মাঝে মাঝে রাতে হেঁটে
বেড়াই অজানার পথে পথে।


একদিন তুমি আমার স্পর্শে শিহরিত হতে;
জানি এখন তুমি অন্য কারো
স্পর্শে শিহরিত হও।
তোমার দীঘল চুলের আলতো
স্পর্শে এখন অন্য কেউ মাতাল হয়।


তবুও ভালো থাকো প্রিয় অস্পর্শিনী।।