আমি তো চাইনি পেতে গো সুখের
সেই অনাবিল পাখি।
তবুত্ত তুমি কেন যে শেখালে প্রণয়?
আবীর ধূসর গোধূলির বেলায়
পাখি যেমন নীড়ে ফিরে এসে
তার সঙ্গীনের বুকে মুখ লুকায়-
তেমনি তুমি এই বুকে মুখ লোকাতে।
আমিও যে দিয়ে ছিলাম আশ্রয়,
বুকের মাজারের গহীনে।


আমি তো চাইনি স্বপ্নের জাল বুনতে,
কেন তুমি তবু দেখালে আমায় স্বপ্ন?
তারপর বুনো ঝাউ ফল
যেমন টোপরে ফেলে দেয়,
তেমনি করে ছিটকে ফেলে দিলে
ক্লান্তি হীন ধূসর জগতে।
আমি শুধু নীরব রয়েছি ঘাস ফড়িং
যেমন থাকে নির্লিপ্ত ঘাসের ভিতরে
ঐ দূরের ধান ক্ষেতে।


জানি একদিন সব পাখি যাবে ফিরে ঘরে,
শুধু তোমারই কাছে আমার হৃদয়
হাজারো বছর থাকে যদি পরে।
তবুও তুমি আসবে নাক ফিরে,
আলো হাতে জোনাকির মত,
অথবা বালির উপরে জ্যোৎস্নার মত,
আমার হৃদয় আলো করে।
জানি আমি তবুও তুমি থাকবে দূরে
তুমি যে এখন প্রণয় হীন একটি পাখি।।