কোন একদিন গুরুজন বলেছিল
পচা শামুকেতে পা কেটো না;;
পায়ের তলায় তবু জোড়া জোড়ায় অন্ধকারের কৃষ্ণ শঙ্খ  
অপ্সরার ঘুঙুরের তালে শুনি ফাগুনে ভ্রমরী গুনগুন,
আমি পথ হেঁটে যাই নগ্ন পদে নক্ষত্র মাড়িয়ে  
ছায়া পথের মাঝখানে এক কুটি যোজন পথের আগুন।।


রক্ত পেয়ালায় মরুর মাটিতে পান করি প্রণয় জহর
স্ফীত বেসামাল বেলুনের মতোই দুর্দান্ত নীল মত্ততায়
আগুনের স্পর্শে অনুভব করি গোলাপী সুবাস
অশান্ত সমুদ্রে ফেলি বরশির ছিপ, ভেসে যায়।।


হাতের স্পর্শে নদী কিনারায় কলমী লতার স্নিগ্ধ যৌবন
পাঁজরে জড়িয়ে যায় বারবার, প্রেমে আড়ষ্ট কাননে মালি
মাটিতে নক্ষত্র নেমে আসে, ঝিঁঝিঁ পোকার মায়া জালে
প্রণয় রসে মাতাল, পায়ে পায়ে  মাড়াই আমি বিষকাঁটালি।।


ইষ্টি কুটুম ডাকছে, নগ্ন গেলাসে পান করি রক্তিম মদ
লালসার জিব্বায় নিয়ে রক্তাভ রৌদ্রের বিচ্ছুরিত স্বাদ
মায়াবীনির নাভিকুণ্ড চোখ জাজায়, রামধনু রঙে কাচের জানালা
প্রণয় জহর পান করে নীল চাঁদ, অবশেষে পেয়েছে বেদনা ভরা অবসাদ।।