আজ এই পৌষেরই অবেলায় দেখ
পৃথিবীর পথে নামে শীতল স্তব্ধতা;
শতাব্দী-সন্ধির অসময়ে যেন
সম্রাজ্ঞীর অবয়ব হয়ে আসে হিম…
অবিরাম সময়ের সুতো কেটে ফেলে
হাওয়া-গুঁড়ির মতই ঝরছে শিশির,
পুকুরের জল ছেড়ে আজ
ক্লান্তিতে যেন লুকিয়ে পড়ে
হলুদ খড়ের মাঝে, সাদা হাঁস গুলি।
হিমের নগরী হয়ে জমে আছে যেন
এই বাংলার প্রাঞ্জল সেই সব গ্রাম।
সূর্যের হাসি মাখা ভোরের আজ
অজস্র শীতল অবসাদ যেন-
বিষণ্ণতা ঢেকে আছে পৃথিবীর বুক;
বেঁচে থাকার নিঃশ্বাস নিতে
মাঝে মাঝে শুধু জেগে উঠে
ক্লান্ত সূর্যেরই উপসংহার।
সমস্ত গাছেরা আজ ক্লান্ত কঙ্কালের
মত গুটিসুটি মেরে পড়ে আছে,
বাদামী মাটিতে ঝরে পরছে শুধুই
হলুদ সবুজ পাতা।
সন্ধ্যায় ঠাণ্ডাটা খুব বেড়ে গেলে
শিশিরের ডানা ঝাপটায় শুধু
কোন একটা কাক দম্পতি
ক্রমাগত হিম ঠাণ্ডা বাড়ে..
মরণ ডাকা বেচারা বৃদ্ধ বুড়ো,
আগুনে সেঁকছে সময়ের পরিশ্রুত হাত  
স্বপনে দেখে আসবে কবে
সবুজ পাতার খামে সোনালী ফাল্গুন।।