আমার পৃথিবীর ভেতর একটা মৃতদেহ বাস করে
বস্তুত মৃত দেহটা তিন জন্মের বাসি। ক্ষুধার্ত দ্বিধাগ্রস্ত বর্ণমালা সেই মৃতদেহকে খুবলে খুবলে খায়, তারপর হো হো শব্দ করে হেসে ওঠে একটা ধানক্ষেত, নীল হারিকেন জ্বালিয়ে ধিকিধিকি জ্বলতে জ্বলতে নিভে যায় একটা জোনাকি, জ্বলতে থাকে শুধু জ্বলজ্বল শেয়ালের চোখ। নিয়ত চলে ইঁদুর দৌড় প্রতিযোগিতায় রিম্পার শো; ডালিম গাছের তলে আমার অনাগত প্রেমিকার বাক্স ভর্তি যৌবন পচে গেলে বাসি হতে থাকে.., ঘোর অন্ধকার শ্রাবণ সন্ধ্যায় হাঁড়িকাঠে বলি হয় আমার ভেতরে বাহিরে আঁষ্টে-পিষ্টে জড়ানো হাজার স্বপন; অতঃপর বহু বিপজ্জনক বাঁক বদলের পর মনে হয় এইখানে গুরুত্বপূর্ণ কেউ নেই! এইখানে ডুমুর গাছের নিচে ব্যর্থ সব ভ্রূণেরা খোঁড়া পায়ে হেটে যায় শুধু হেটে যায় মহাকালের দিকে...