মাগো, তোমার বুকের ধন , যারা করেছিলো পণ
জীবন দিয়ে হলেও তারা সমুন্নত রাখবে তোমার মান।
ওরা কথা রেখেছে মা, এনেছে তোমার স্বাধীনতা,
আকাশে বাতাসে আজই কত শান্তির বারতা।
পরাধীনতায় কত ঘাত-প্রতিঘাত নির্ঘুম কতরাত
শান্তিতে মা একটু ঘুমাও , ঘুমাও ক্ষণকাল ...
জানো মা, তোমার শান্তির তরে তোমার ছেলেরা
গড়িয়াছে কত মন্ত্রক, কতযে দপ্তর, বিশেষ বিশেষ কত দল
তোমার কল্যাণে করেছে শপথ তোমার দামাল ছেলের দল।
সদা সরল, সঠিক পথে ওরা মাগো, ওদের আস্থা অবিচল ।


তুমি তো জানো মা, নিড়ানির পরও আগাছা দু'চারটে থাকেই,
হয়তো ছিলো তখনও, তবুও সোনার ফসল তোলা যেতো ঘরে,
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে আজই, যেন আগাছারাই মহীরুহে
মনেহয়! তোমার সেই পুরানো শত্রু ওরা, আগের রূপেই
পথভ্রষ্ট ওরা, ওরা অজাত, ওরা ছিন্ন করে নিয়মের বেড়াজাল
খাবলে খাচ্ছে তোমায় অবিরত, ভাঙ্গতে তোমার মনোবল।


ভয় কিসের মা?
জাগ্রত আজও তোমার দামাল ছেলের দল
তেজোদীপ্ত ওরা, অদম্য সাহস ওদের; আছে শক্তি, প্রযুক্তির নানা কৌশল ।


তোমার নিরাপত্তায় মাগো, ভিনদেশী কিছু কুকুরও দেখি আজকাল,
পদস্থ আমলা থেকে সাধারণ, কাউকে সন্দেহ হলেই...
জানো মা? কুকুরগুলো অপরাধীকেই শুধু ধরে, নিরপরাধীকে হয়রানি করেনা মা।


আচ্ছা মা, ওগুলো তো ভিনদেশী তবুও কতো বিশ্বস্ত তোমার,
কি করে হয় বলো?
কি শপথ করিয়েছো  ওদের ?
ঐ শপথ নাহয় একবার করাও,
আগাছারুপী ঐ অজাতদের।
তাতেও যদি বিশ্বস্ত নাহয় অজাতেরা,
তবে তোমার দামাল ছেলেদের বলো, কুকুরই যেন লেলিয়ে দেয়,
তবুও পথভ্রষ্টদের দ্বায়িত্ব দিয়ে, যেন তোমায় কলংকিত না করে মা...
তোমায় কলংকিত না করে।