বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে ফুল কুড়ানোর দিনে
আমাদের যে আনন্দ সঞ্চয়ে রেখেছিলাম,
ওসব কোথাও আর নেই, হারিয়ে গেছে
হারিয়ে গেছে গুপ্ত কলরবমূখর দিন।
পরে আছে ঘরে জানি তোমার দেয়া
প্রিয় হারমোনিকা, জাদরেল ভায়োলিন,
তুমি মরে গেছো, ওপারে চলে গেছো
মাটির আড়ালে তুমি— শোক বিষাদে বিদায়ের দিন।
তুমি বৃষ্টির দিন শেষ দুপুরে মরে গিয়েছিলে,
সেকি ঝুম বৃষ্টি আকাশ ভেঙ্গে– যেন আকাশ কাঁদে,
আমাকে ছাড়া নিজের সাথে সব নিয়ে গেছো
মায়া, ছায়া আরও কত কি অজস্র অনুভূতি!
তোমার মৃত্যু আমাকে ভীষণ আঘাত দিয়েছে,
এখন তোমার কবর ছাড়া
আর কিছু নেই একান্ত বলে আমার কাছে।
কতবছর হয়ে গেল, কত বর্ষা চলে গেল
একটি মাটির আচ্ছাদনের ব্যবধানে দু’জন,
আমরা দু’জন দুই রকমের অমিলে আছি
ভিন্ন ভূমিকায় বয়ে বেড়াই ভিন্ন সম্বোধন।
তুমি মরে গেছো তাই মৃত বলে জানে লোকে;
আমি জীবিত, অথচ লোকে পাগল বলে
কেন এমন আছি কিছুই আজ বুঝাতে যাই না
কারো কাছে- দরজার চৌকাঠে; চেনা রাস্তাঘাটে।
তোমার কবর ঘেঁষে আমার সবুজ ঘাসের বিছানা
থাকি সেই কবে থেকে— ঠিক এইভাবে,
একটি অচেনা গাছের বীজ গুজে দিয়েছিলাম
দরূদ পড়ার ঘোরে পুরোনো হওয়া তোমার কবরে।
এবং তুমি ফিরে এলে, আবার এক বর্ষার জলে
ফিরে এলে একটি হলুদ ফুল হয়ে পাগলের তরে,
আমি বেঁচে গেছি, বেঁচে আছি এখনো —
বাৎসরিক একটি হলুদ ফুলকে তুমি ভেবে ভালোবেসে।