দেখো চারা গাছগুলো
যেন বাতাসে সায় দেয়,
সম্মতির মাথা নাড়ে
তোমার মতো করে।
ছিলেনা কোথাও,
তবুও যেন সারারাত প্রতীক্ষায় ছিলে,
পূর্ণিমার চাঁদ মুখ লয়ে।
ঘুমিয়ে ছিলাম বলে,
শেষ রাতে কাছের আকাশে এসে
ফিসফিসিয়ে বললে,
-এই এলে?
তারকা মেলায় সারারাত
কতো আলো বিছিয়েছি!
কোথায় ছিলে?
গেলাম তাহলে!
এই বলে পর্দা টেনে নিলে,
দুধের থেকে সর তুলে নেয়ার মতো
আলগোছে আলো তুলে,
সূর্য ওঠার আগে
লুকালে দিনের শেষ অন্ধকারে।
আমাকে পরোখ করো
কোন এসিড-ক্ষারে,
কোন লাল-নীলে, লিটমাসে?
জীবনানন্দ ঝেড়ে ফেলে
পাখির নীড়ের চোখ রেখেছো কোথায়!
আমিতো দিনরাত্রির হিসেব ভুলে
গুছিয়ে রাখিনা সময়!
তবুও প্রতি শুক্লপক্ষ তিথিতে, মাসে
তুমি অন্ধকার বেছে নাও বলে
একরোখা আমাকেও
আলো খোঁজে ফিরতেই হয়
জীবনানন্দ দোষে-
নিখোঁজ সন্ধ্যার প্রথম অন্ধকারে,
টিএন্ডটির সিঁড়ির গোড়ায়।
সেখানে যথাযথ সন্ধ্যা নামে না,
সেখানে 'সন্ধ্যা' নামে প্রহসন হয়,
আলো জ্বেলে রাখেনা কেউ কোথাও!
যদি শেষবার ছুঁতে দাও,
দু'হাতে চাঁদ মুখ তুলে
জানতে চাই আরেকবার
-এতদিন কোথায় ছিলে?