লুটিয়ে পরা সুখ মানে আজ মধ্যরাতের আলিঙ্গন।
সম্মানিত সুখ মানে আজ খন্ডপ্রেমীর ভরনপোষন।
সুখ মানে আজ হঠাৎ  ছুঁয়ে ইচ্ছেমত পালিয়ে যাওয়া,
সুখ মানে আজ হঠাৎ শুয়ে  ইচ্ছে পাপীর সতীপনা।


প্রেমিকের রুটিনমাফিক মিছিলে যেতে ইচ্ছে করেনা আর।
বড় বড় মানুষের দাপ্তরিক শ্লোগানগুলো,গদবাধা বক্তৃতা
গ্রামাফোন রেকর্ডের নাকি সুর কান্না মনে হয়।
ঠিকঠাক, যদি অন্তর কাঁদে,
ঠিকঠাক,হাহাকারের স্পন্দন যদি সত্যি সত্যি
কারও হৃদয় পর্যন্ত, পৌছুতে  চাও,
তবেই তোমাদের সাথে মিছিলে যাব আবারও।
তবেই তোমাদের সাথে আবারও ঝাঁপ দেব মাঝ সমুদ্রে।
সমুদ্র, আমি এখন আর তোমার কাছে যাইনা,
বুকে তোমার বড্ড লোনা জল।
সাধ ছিলনা আতল খোঁজার তাই
হাত ভেজানোর অভিনয়েই ধন্য,
তবু চোখ হয়ে যায় তোমার নিবাসভুমি।
দুঃখ পেলে মন হয়ে যায় তোমার মত বন্য।
সূর্য তবু হতেও পারে ম্লান
মন ভোলেনা জমাট অভিমান।
চোখ বলেছে সাগর এবার তোমার আবাহন।
মন ,বলেছে জলটা নাকি একই রকম লোনা,
অনুভুতি একই রকম অতল।
এবার যদি ফিরি নাইবা থাকুক কিন্তু, যদি, কেন ।
নতুবা, আমিতো যাবই নতুন প্রানের মিছিলে।


অতএব আসুন নতুন করে প্রেমে পড়ি,
বিবর্ণ জীবনে কিছুটা নতুন রং লাগুক আবারও,
শুকনো মরুতে শ্রাবনের ধারা নামুক।
ত্রাতা প্রেম দাও,
শুধু আমাদের হাত ধরে থাক পুরাতন হাত,
সুখেরা চক্রাকারে ঘুরুক শনির বলয়ের মত।
আমি জানতাম ক্ষীরের পুতুল অমৃত
পা থেকে মাথা অব্দি,
অমৃতে অরুচি নেই আমার,
সুতরাং আমরাতো প্রেমে পড়তেই পারি।


জানতে চেওনা পাখি কোন নীড়ে ফের?
শিকারী বেড়াল সেও স্বগর্বে কুহরে ফেরে।
মুখে তার নীড়হারা পাখিদের ছানা।
সব নীড় নীড় নয়,
কিছু কিছু জেলখানা।
তবুও কিছু গল্প থাকে,
বালিহাঁসের পায়েও শেকল !
যদিও আকাশ খোলা,
হঠাৎ মনে হয়, আকাশ কোন ঠিকানা কি পারে দিতে,
নীড়ের খোঁজে বালিহাঁস ধরনীতে,
মন্দের ভাল শেকল খোলেনি সে
নুপুর ভেবেছে।


যেখানে মন খুলে হাসলেও রক্ত বমি হয়,
বুঝে নিও ক্ষতটা কতটা গভীর।
অনেক দিনের পুরনো সে জমাটি সংক্রমন।
আঘাতটা কোন অশ্বিনীর প্রলেপ পায়নি জীবনে ।
সত্য বটে সত্য, ক্রমাগত আঘাতে টেকেনা প্রলেপ ।
অনুযোগ,অভিযোগ ধূমায়িত হয়ে ক্ষোভ হয়ে গেছে।
তাই অবয়বে তার ভিন্ন আকাশের সাধ।
অথবা সে জানতই না,
পৃথিবীতে আরও একবার আসতে হলেও
পার হতে হবে বিরুদ্ধ স্রোত।


ওরা  অনেক কিছুই বোঝে বালক।
ওরা গাছতলা আর ছাদনাতলার পার্থক্য বোঝে ।
রাজকুমার আর ভিখিরি বোঝে ।
নাকের নথ আর অনামিকার আংটি বোঝে ।
কোন পুরুষের ছেলে হবে,
কার গায়ের গন্ধে কড়া চুড়ুট ম্লান হয়,
কে ভবিষ্যতের তীব্র নাক ডাকিয়ে হবে,
কে গোলাম, কে স্তিমিতনেত্র,কে যোদ্ধা,জ
সব সব ওরা জানে।
সর্বপরি কতটা সুন্দরী হলে কি জোটে তার সবিস্তারে
পরিসংখ্যান আর হিসাববিজ্ঞান জানে।
ভবিষ্যৎ হস্তরেখা বিদ্যার পাতাপাতা মুখস্থ কিনা!
কিন্তু,
নিষ্পাপ গোলাপ হাতে হাড়িকাঠে মাথা দিতে,
তুমিই প্রথম আসনি বালক,
এতটুকু সান্ত্বনা তুমি পেতেই পার ।
শোন বন্ধুবর,অযথাই মরে যেতে নেই,
কখনই মরে যেতে নেই এবং মরে যেতে নেই, বাঁচো।
কেউ যারা পাখি হয় তারা সব অভাগার দল,
বেড়ালের প্রাকৃতিক খাদ্য সকল।
কেন পাখি ফের নীড়ে,প্রশ্ন করো না।


যার যার বাঁক ভাল লাগে নদী অথবা নারীর,
এক নদী বেয়ে আরেক নদীর কাছে ঠিক পৌছে যাও।
কোন নারী পারবে না অন্য নারীর কাছে পৌছে দিতে?
নদীতো তা পারে!
গভীরতার গল্প, বয়ে চলার গল্প,
পিচ্ছিলতা পঙ্কিলতার গল্পে,
কোথাও স্থির হওয়া মানে মৃত্যুতো বলা নেই!
ধৈর্য ধর নদী, শুনব তোমার গল্প।
আমি একটু নারীর বুকে ডুব দিয়ে পূর্ন হয়ে আসি!


একবার ঠোঁট থেকে বিষ কিনেছিলাম,
এখনও সর্বাঙ্গ নীল হয়ে আছে,
সেই থেকে বিষের নেশা,
শান্তিতে দিলনা ঘুমাতে।
একবার আগুন ছুঁয়েছিলাম হাতে,
সেই থেকে দহনে বুঁদ হয়ে আছি,
অতখানি উত্তাপও ভাল লেগে গ্যাছে।
একবার তাকাবার  হয়েছিল সাধ,
একবার ঘ্রাণ মিলেছিল ।
মগ্নতা একবার নাম দিয়েছিল,
সেই থেকে আর আমি,
আমাকে পাইনি ফিরে।
আবদ্ধ আত্মা আমার মোহের প্রাচীরে,
সেই থেকে,এখনো।