যে নদী স্রোতস্বিনী তাকে কেউ ক্রোধী বলে না।
এঁকেবেঁকে সর্পিল, চলে নদী পথ এঁকে এঁকে।
দুইধারে যার–সভ্যতার, ফসলের বিপ্লব
গতি তার স্বাভাবিক, রুঢ়তাও অমঙ্গল নয়।


আজন্ম সংগ্রামী নদী-
স্বাভাবজঃ 'রুঢ়তাকে' প্রকৃতিই  দিয়ে থাকে,
সানন্দ প্রশ্রয়– হাসিমাখা মুখে।
মুখে তার 'ভদ্র মহোদয়', 'ভদ্র মহোদয়া' এসকল
সহসা না শোনা গেলেও,
ক্ষরস্রোতা নদী 'পাহাড়ি ঝর্ণা' হওয়ায়,
'সান বাঁধানো পুকুর', 'সুইমিং পুল' না হওয়ায়–
পরিচয়ে 'প্রগতির কারিগর' বলি।


ছাই এর খনিতে হিরের খণ্ড নদী ,
ভণ্ড সে নয় মোটে– অকারণ অভিনেতা নয়।
শৃঙ্খলতাই অভিশাপ। শেকল লোহার হোক
অথবা সোনার, শেকল শেকলই।


নান্দনিক নদীকাব্য, তাকে ঘিরে
অগোছালো চাহনিটিরে; কে যেনো বলছিলো
ভালোবাসা! ধন্য জীবন তার, ধন্য–
ডেকে আনা স্বাধীন মৃত্যু সর্বনাশা।
সাধ করে শুধু সাধ করে–
একদিন ঠিকঠাক 'স্রোতস্বিনী নদী' হবে বলে।


১৬/০৪/২০২২