যেমন শীতের রাতে উষ্ণ আমন্ত্রণে পশমী কম্বল
তোমায় ছুঁয়ে থাকে,
তেমনি তোমার আমাকেই কেন ছুঁতে হবে একদিন?
তোমার আলিঙ্গন কেনইবা পৌঁছুতে হবে ততদূর
যতদূরে আমার  হৃদয়?


সকালের মিঠে রোদ যেমন ছুঁয়ে দেয় তোমার নয়ন
গোলাপী ঠোঁট ছুঁয়ে পৌঁছোয় কখনো কখনো
অনুভবের চেয়ে আরো গভীরে।
আমাকেই কেন পৌঁছুতে হবে ততদূর?
একাকী দুপুর থাকে তো থাক আরো অপেক্ষায়?
হিমেল হাওয়ায় এবার না হয় তুমি চাদরে ঢাকো, তনুশ্রী।
আমাকেই কেন হতে হবে সেই আপন তোমার?
আমি আর চাই না নতুন কষ্ট পেতে ।
করে নেব কেন ভাগাভাগি দুজনায়, আগামী সন্ধ্যাটা?


কিংবা তারও আগে খোলা ছাদে যদি তুমি থাকো
আমার অপেক্ষায় ,
আকাঙ্ক্ষিত যুবক হয়ে আমি আসবো ঠিকই। কেন?


বৃষ্টির আবছায়া দৃশ্য দেখে তোমার চুল রং ছায়ার মতো
সন্ধ্যা নামে নামুক,
সন্ধ্যা যদি তাকায়, তো তাকাতে দাও।
আমি কেন হবো সেই পাপী ?
কেন উষ্ণতায় পোড়াতেই হবে যুবক হাত?


আলিঙ্গনের  রাত নামলো বলে, রাত দুপুরে,
যৌবন তরীতে কেন ভাসাতেই হবে গা,
হেলে পড়া নিষিদ্ধ কবিতার মতো?
আমি কেন তোমার সেই কবি হবো?
জোর করে আলিঙ্গন  ছিনিয়ে নিলাম,
এমন অপবাদ, আমি কেন মাথা পেতে নেবো?


ঠিকঠাক যুবকের অতো তৃষ্ণা থাকে না রমনী।
তার অনেক অনেক শাখা থাকে, পাখা থাকে।
তার সাথে উড়ে যেতে হয়।
তাকে যে টানতে নেই হৃদয়ের অতটা গভীরে।
অতটা আপন তার হতে নেই অতিথি পাখি।
১৫/০২/২০২২