আমি এক সোনালী অতীতের সাক্ষ্য দিতে এসেছি,
আমি এক নির্মল বিকেলের সাক্ষ্য দিতে এসেছি।
এ পথ সেদিন এতো বিস্তৃত ছিলো না,
এ চোখ তখন জলে টইটুম্বুর ছিলো না,
আমি এক দাওয়ায় বসা উদাস কবির,
চির উন্মাদ যৌবনের রাজসাক্ষী।


এই কংক্রিটের ছাউনি সেদিন ছিলো না...
এই বিধ্বস্ত প্রান্তর সেদিন ছিলো না....
কলাপাতায় মোড়া ধোয়া উঠা খাবার গুলোই তখন সবচাইতে উৎকৃষ্ট ছিলো...
খড়কুটো, আর পাটে বোনা, ছাউনিতেই তখন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা হতো...
আমি এক সবুজ শ্যামল উন্মুক্ত প্রান্তরের রাজসাক্ষী....


এই নিঃসঙ্গতা সেদিন ছিলো না....
যখন তখন এর উন্মাদ ভাবনাতেই চোখের সামনে কেউ এসে পড়তো...
সেদিন একটা কাকতালীয়ভাব ছিলো....
মনে পড়লেই দেখা হতো, কথা হতো...হাতে হাত রাখা হতো....
এই জনস্রোত সেদিন ছিলো না....
তৃতীয় পক্ষের শব্দের বিপরীতে আমি কখনও কোনো মানুষকে নয় বরং চ্যানেল আইয়ের টক-শো কেই মনে করতাম,....


আমি এক উড়ে যাওয়া হলুদ পাখির রাজ সাক্ষী..
যা দেখতে তোমার নীল চোখ চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকতে...
একবার বারান্দার গ্রিলে একটি হলুদ পাখি বসেছিলো আমি ধরতে পারিনি...
কেননা তোমার নীল চোখ দুটি আর উন্মুখ নয়....
তোমার চোখ এখন কেবল তৃতীয় পক্ষের নব যৌবন দেখতে দেখতে ক্লান্ত....
তোমার হাত হলুদ পাখির বদলে তৃতীয় পক্ষের কড়াল থাবায় মুষ্টিবদ্ধ...


আমি এক জমে থাকা ক্ষোভের রাজসাক্ষী....
আমি এক ভুলে যাওয়া স্মৃতির রাজসাক্ষী...
আমি তৃতীয় পক্ষের বিপরীতে প্রতিবাদী মিছিল.....
আমি এক বয়োঃবৃদ্ধের থেকে কেড়ে নেয়া শ্রেষ্ঠ সময়ের রাজ সাক্ষী...
-কাব্য