একটি মাঘের শুরু...শীতের সকাল..কুয়াশায় ঘেরা উঠোন, হাড়কাঁপানো মিহি উত্তরের বহমান হাওয়া...একটুখানি সূর্যের আলোর প্রতীক্ষায় আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা তৃষ্ণার্ত দুটি চোখ। চোখের উদাস আকুতির পরিবর্তে প্রকৃতির হিংস্র অবয়ব...কুয়াশায় ক্রমশঃ গ্রাস হতে থাকা আবছা চোখ।


সময়ের হাতে হাত রেখে মুষ্টিবদ্ধ অপেক্ষমান এক বৃদ্ধ।


একটা বহুল প্রতিক্ষীত সূর্যোদয়, সূর্যের আলোয় নব যৌবন ফিরে পাওয়া সময়, পথ,ঘাট, মাঠ, জোড়াসাকো।


একটা আধ-নির্মিত ইটের ইমারত, ইমারতের ছাদে বিছিয়ে রাখা সদ্য সেদ্ধ আমন ধান.. একটি ভয়াল প্রখর আলোর তেজ...সেই প্রখরতায় ফেটে যাওয়া ধানের স্তুপ...একটু দূরেই ক্ষুধার্ত পেটে উড়ন্ত এক শালিক.. সেই শালিকের নিশ্চুপ অবতরন, এক-দুটো ধান ঠোঁটে নিয়েই ফের শূন্যে উড়াল...একটা কুসংস্কার আবার তার থেকেই পরিত্রান.. একটা শালিক অমঙ্গলীয়.. তাই সে শালিক যাওয়ার পূর্বে আরো একটা শালিকের আগমন... জোড়া শালিক মঙ্গলীয়...


একটি দ্বি-মুখী সরল পথ.. পথের পাড় দিয়ে বয়ে যাওয়া সরু খাল, খালের উপরে বাঁশের সাকো.. একটি ছোট্ট গোয়াল ঘর.গোয়াল ঘরে বেঁধে রাখা গরু-বাছুর..একটি দুধালো গাভী..
গাভীর দুধ দুইতে থাকা গোয়াল....দুধে পরিপূর্ণ এক কলস।


একটি ব্যস্ত হাট.. হাটে ওঠা গেরস্ত বাড়ির তরতাজা সবজি।
একটি উন্মুক্ত হাঁক... সেই হাঁকে সারা দিয়ে ফাঁকা হয়ে যাওয়া গোয়ালের দুধের কলস...


একটি গোধূলীর লগ্ন... প্রতিক্ষীত দীপ্তিময় সূর্যের প্রস্থান...


একটি ক্লান্ত-ঘুমন্ত জনপদ... ঘুমের ঘোরে স্বপ্নের ভেতর দুপুরের সেই দেদীপ্যমান সূর্যের তেজ... আর সত্যিকারের আকাশে ভুলোমনা এক অবাক জোছনা.....
একটি নতুন শীতের সূর্যের অপেক্ষায় জোছনার দিকে তাকিয়ে থাকা আমি ও আমার চারপাশ...