একটি মৃত্যু হবে...
তার জন্য প্রতীক্ষায় কেটে গেল, বাইশটি বছর,
ক্ষীণ আশার পালে বাতাস বড়ই অগোচর।
ভেসে  চলেছি আজ স্মৃতির সোপানে,
হাত রেখেছি মহাপ্রস্থানের বাঁটনে।
অতঃপর ছুটে চলা মৃত্যুর মিছিলে,
অধীর বদনে চেয়ে আছি নিখিলে।
কখন আসবে মহা রথ ?
শেষ হবে রক্তের হাঁটা পথ।
লেখা হবে একটি কবিতা,
আমাকে নিয়ে প্রাক্তন লিপিতে সেটা।
অতঃপর পড়ে রবে বাতাস হীন টিউবের মত
চুপসে থাকা আত্মাহীন শরীর আমার।
চোখ জোড়া নিথর হবে শান্ত ঝিলের মত,
মুখখানি ঢেকে রবে অভিমানের সাদা কাপড়।
হাতঘড়িটা’ র তালে নাচবে না আর
বুক জুড়ে লক্ষ্মী রমণীটির পদযুগল।


ধমনীর পথে পথে অদৃশ্য কাচের দেওয়ালে
অঙ্কিত হবে নিঃশ্বাসের থেমে থাকা আলপনা।
নিভে যাবে আশার শেষ মোমবাতিটিও
শেষ হবে ধীরে চলা  কল্পনার পদচারণা।
অতঃপর ডীফ-ফ্রিজের মত হিম হয়ে যাবে
মরুর উত্তাপ সম আমার স্তব্ধ খোলষখানি।
পরিজনের রক্তিম চোখে জানি আসবে পানি।
মজিদ হতে ভেসে যাবে মৃত্যুর খবর,
হয়ত মিছিল হবে আমাকে শেষ দেখার।
সবকিছু শেষ হবে বাঁশবনে, নতুন করে শুরু হবে
সব কিছু আগেরই মতন।
স্মৃতির লোনা জলে ডুব দিয়ে কী লাভ!!
ভুলে যেও সব পিছুটান।