কিছু নরপশুর সামনে বসা সে
কিছুকাল পর তার বলি হবে
সে কী এমন জীবন চেয়েছিল
কিন্তু কেন বিধাতার এমন নিষ্ঠুর খেলা।।


সেও বাঁচতে চেয়েছিল সমাজের আট-দশজনের মত
অতি সাধারণ সহজ সরল জীবন।।


সামনের নরপশুদের দিকে তার ঘৃনা ভরা দৃষ্টি,
কি আনন্দ উল্লাসে তারা মত্ত
একেকজন নেশায় বুঁদ হয়ে আছে
নেশার ধুয়ায় হারিয়ে গেছে তাদের বিবেক
মনুষত্ব বোধের লেশ মাএ নেই তাদের মনে।।


কত আকুতি মিনতিই না করেছে সে
তাতে পশুদের মন বিন্দুমাএ ও গলেনি,
তারা ছিল হিংস্র ,হায়েনার চেয়ে ভয়ংকর
পশু তারা ,পশু তারা,নর পশু তারা
মানুষ বেশে সমাজের কিছু পরিতেক্ত কিট
মানুষ খেকো রাক্ষস ,তারা বর্বর ,তারা ধর্ষক ।।


সে এমন জীবন চায়নি,
সে চেয়েছিল অতি সাধারণ সুন্দর একটা জীবন।
সে তার মাকে বুকে আগলে রেখে বাঁচতে চেয়েছিল
চোখের সামনে তার মায়ের অশ্রু সিক্ত দুটি চোখ।
মা কাকে নিয়ে বাঁচবে?
মাকে কে খায়িয়ে দিবে?
মায়ের চোখ সিক্ত ঘৃনাভরা দৃষ্টি তার।


নরপশু একজন আবার তাকে
টেনে হিঁচড়ে  বিছানায়  নিয়ে গেল,
নরকের সব দরজা ঘুরে এসেছে সে।
তারা পশু,তারা পশু ,তারা নরপশু
তারা বর্বর,তারা ধর্ষক তারা সমাজের পরিতেক্ত কিট
তাদের বাঁচবার কোন অধিকার নেই সমাজে।।


তাদের ঘরে কি মেয়ে সন্তান নেই?
নাকি তাদের ঘরে মা বোন নেই?
ধর্ষণের আগে কি তাদের একবারের জন্য হলেও
মা,মেয়ে,বোনের চিএটি ফুটে উঠেনি তাদের চোখের সামনে
বড় জানতে ইচ্ছে করে তার।।


মেয়েটির আরো জানতে ইচ্ছে করে
সমাজ কি তাকে মেনে নিবে
নাকি ছুরে ফেলে দিবে ময়লার আস্তাবলে ।।
অমানবিক পাশবিক নির্যাতনে মেয়েটি
সুন্দর মনোহরা বসুন্ধরা ছেড়ে
স্বপ্ন গুলোকে স্বপ্ন রেখেই চলে গেল ওপাড়ে।।


এই ধর্ষকদের কি বিচার হবে?
নাকি প্রহসনের নাটক সাজিয়ে
তারা আনন্দ উল্লাসে মত্ত হবে।।
সংবাদপত্রে শিরোনাম হবে ,
বড় বড় হরফে হেডলাইন হবে টিভিতে
আন্দোলন হবে,মানবাদিকার কমিশন জেগে উঠবে,
নারী সংগঠনগুলো হাক ডাক দিবে
তারপর একদিন সব চুপ  
যেমন এখন সে শুয়ে আছে কবরে।।


সে তার বিচার পায়নি!!!!!!!!!!!