ঝাপসা দর্পন আর অষ্পষ্ট ছবি টা,
থরথর হাতে তে সন্নাসী কবিতা।
শুকনো রং আর ধুলিমাখা তুলি টা,
ভালোলাগে কচি কন্ঠে দাদু নামের বুলি টা।
সাদা কালো জীবনে শতাব্দীর দাবি টা,
প্রার্থনা লগ্নে কর্তার হস্তে চাবি টা।
কাপাকাপা কন্ঠে আরোগ্য চাওয়া টা,
তিক্ত স্বাদের সেই চিকিৎসকের দাওয়াটা।
কুচকানো চামড়া সাফেদ চুল দাড়ি,
নির্জনা মনে তখন ছেড়ে বাড়ী গাড়ী।
নিদ্রা বুঝি মরিচিকা ভাবনাই অবলম্বন।
দায়িত্বে অবসর খাতা কলমি সম্বল।
ঝাপসা চোখ নাকি ঝাপসা চশমা,
অযাচিত নিতি নাকি অযাচিত আমরা।
হারিয়েছে স্বাধ নাকি হারিয়েছে ক্ষুধা,
প্রসঙ্গে সংশয় নাকি ভাবোনাতে দ্বিধা।
অসমাপ্ত কাব্য নাকি পুর্ন বাসনা,
ফুরিয়েছে চাওয়া পাওয়া সমাপ্ত রচনা।
প্রতিবন্ধির কেদারা আর বাকা কমরের লাঠি,
হতাশা দ্বিধা ভয় সংশয় এই নিয়েই তো আছি।
স্বপ্নের দেশ টা আর দুঃ স্বপ্নের কন্যা,
অজস্র বৃষ্টি আর ভয়াবহ বন্যা।
কারাগারের শিখ আর মসজিদের বাতি,
ভেঙ্গে পড়া চাল আর ফুটো হওয়া ছাতি
তৃপ্তির স্বাদ আর নীতিবাক্য,
হারিয়েছে লাজ আর সত্যের সাক্ষ্য।
স্মৃতিশক্তির লোপ আর কমরের ব্যাথা,
বুক ভরা ক্ষোভ আর ঝুড়ি ভরা কথা।
নিঃসঙ্গ জীবন আর প্রতিবিম্ব সাথী,
এই নিয়েই তো আপাতত আছি।
জীবনের শেষ প্রান্ত,
নাকি পথ এখনো সূদুর,
বলে দাও না অন্তরযামী
কে কতটা নিঠুর।