যোগ-বিয়োগের দ্বন্দ
আমার ভাবনায় আমি অবাক জব্দ,
প্রণয়বানে বিদ্ধ আমার মনের কত শব্দ
খুঁজিয়া গেছি আমি যাহাকে শত বঙ্গাব্দ।
প্রকাশক আমার ওষ্ঠো নিরবতায় স্তব্ধ ,
তাহার কন্ঠে সুরের ছন্দে
তানপুরা বাজে আপন অনুবন্ধে।
রাজকন্যার মিষ্টি হাসি
রূপকথার গল্পেই জীবন্ত জানি ,
ভালোবাসি কহিয়াও কহেনা যিনি
তাহার মায়াতেই আটকে আমি ।
সে ভাবুক মনে ; চাহিয়া গোপনে ,
রচিয়া চলে বিকল্প কাব্যগ্রন্থ ,
আমি দর্পন কাঁচে ; কল্পিত আঁচে
পড়ি তাহার কাজল চোখের মায়াবী গল্প ।
লইয়াছি সঙ্কল্প,
করিয়া প্রসঙ্গের পারস্পর্য,
ব্যালকনি ধারে মুক্ত এলোকেশে;
উৎসুক দৃষ্টিতে বরিয়া লহে সে মোরে
হৃদয়স্পর্শী সব আয়োজনে ।
তাহার দৃষ্টি শান্ত-স্থির ,
আমি রামধনুর ন্যায় ব্যাকুল অস্থির,
গোধূলী আভায় সকল শঙ্কায়
যেন লাগিছে তন্দ্রা ,
হর্ষিত প্রাণে ; প্রতিধ্বনির গানে ;
ঊর্মির স্রোত টানে ,
সুর ভাসে আর বলে
“সে আমার মেঘবালিকা ।”