একে একে সকল দরজায়
আমি কড়া নেড়ে দেখছি,
ক্লান্ত হওয়া অবধি।
বন্ধ দরজার ওপাশ থেকে
কেউ জানতে চায়নি
কে এপাশে?


যে দরজা গুলোর
পাল্লা খোলা কি বন্ধ
সেগুলোও আটকে গেছে
একে একে সকল দরজায় তালা।


কেউ সহাস্যে এগিয়ে এসে
হাত বাড়িয়ে বুকে জড়িয়ে
জানতে চায়নি কেমন আছি!
কাছের মানুষ, দুরের মানুষ
আপন মানুষ,নিজের মানুষ


সবার কাছে ভালোবাসার
আর সরলতার,
পরীক্ষা দিতে দিতে
একে একে হারিয়েছি
সব মুখোশ পরা মুখগুলো
চারপাশে তাকিয়ে অচেনার মতো
একাকী ভোরের কুয়াশায়
দু একটা চেনা মুখ ছাড়া।


কেউ আমাকে আমার
মতো করে ভালোবাসে
এমন একটা মানুষ ও
যদি না মেলে এই ভয়ে
কড়া নাড়া বন্ধ করে দিয়ে
নিজেই পালিয়ে এসেছি  
নিঃশব্দে নৈশব্দের নৈবদ্য হাতে
সংগে নিয়ে আশা আর
হাতাশার একরাশ ডালপালা
বুকের মাঝে আপন জনদের
যে ভালোবাসা আর মমতার
ছবি আকা আছে জলরং
থাকুক ওভাবেই  কি দরকার?
স্বপ্ন ভাংগার,কষ্ট পাবার।
বেচে থাক স্বপমানুষ


সাজানো ফ্রেম গুলো হোক
রংঙিন দ্যুতিময় বর্নিল।


এভাবে সব স্বপ্ন যদি
একে একে কাচের মতো ভেঙ্গে পড়ে বাকীটা জীবন শুধু কি দুঃস্বপ্ন কাটেবে
বুকের জমিতে  তবু ফুটে
থাক সারি সারি  সজীব গোলাপ।


শুন্যতার দিকে তাকিয়ে তাই
অসীমের কাছেআশ্রয় প্রার্থনা
ছাড়া কি ই করার আছে?
রিক্ত, নিঃস্ব আর অসহায়ের
মতো আর্তনাদেকারো কাছে
কিছুই কিচাইবার নেই আমার?


আমি কিছুই চাইতেও আসিনি
এসেছি নিজের যা কিছু আছে জানতাম ওগুলোর অনড় অবস্থান আর শক্তি জানতে


অনেকগুলো ক্লান্তি কর রাত
আর দীর্ঘ বিকেলের
জানালায় উকি দিয়ে
শুনত্যা ছাড়া কিছুই মেলেনি।


অসীমের এই বিশ্বনিখিল
রংগিন আলোর ঝর্নাধায়ায়
সকল বাগান জুড়ে,
ফুটুক হাসনা হেনা
আমার থাকুক ক্যাকটাস শুধু
জল ঢেলে ঢেলে
আমি সেই পাথরের বুকে
ফোটাবো নীল ফুল।