এলোমেলো অস্তিত্ব,চোখে কালো রঙের চতুষ্কোণ,
শুনেছিলুম কি কারণে যেন ঘরে থেকেও সে সংসারে দাঁড়ি টেনেছিল।
তারপর ভাগীরথী প্রায় দেড় দশক একাকী বহমান,
সমান্তরালভাবে বয়ে গেছে তারও জীবন ।
এখন সে ঘাম গায়ে অফিসফেরত বাসে উঠে
কলিং-বেলের শব্দে দরজার ছিটকিনিতে হাত রাখে বৃদ্ধা মা,
সাদা কালো চুল আর বাতের ব্যারামে মায়ের বয়স প্রায় পয়ষট্টি ছুঁইছুঁই ।
যাক সে কথা, ফিরি অফিস ফিরতির চা পেয়ালায়
পেয়ালাটা বড্ড পুরনো, রংটা তারচেয়েও বিমর্ষ
তবে একটা লেখা ওতে বেশ অস্পষ্ট তবুও বর্তমান, "উইথ লাভ" ।
চা শেষে চল্লিশের কাঁচাপাকা দাড়ি একটা কিং সাইজ উইলস ঠোঁটে রাখে,
জীর্ণ এক কালো ডাইরির ভাজে ভুলে যাই পৃথিবীকে ।
বসার ঘরের নিউজ চ্যানেলগুলো চিৎকার করে রোজকার নিয়মে,
এস্ট্রে থেকে ধোয়া উঠে আবার ধীর নৈঃশব্দে মিলিয়ে যায় সিগারেটের শেষ অস্থির ।
চতুষ্কোণওয়ালা খুব স্বল্পভাষী, সাদামাটা সাম্রাজ্য
দেড় দশক ধরে একটা প্রশ্ন তাকে পাওনাদারের মত তাড়া করেছে রাস্তায়,অফিসে, পাড়ায়, আড্ডার ঠেকে
"বলি বিয়েটা কি করবে না" ?
সে এই প্রশ্নের উত্তর জানে, আরো বেশি ভালো যেটা জানে-
কাকে দুকাল পেরিয়েও যৌবন ছেলেমানুষির গল্প বলা যায়,
আর কার প্রশ্ন এড়িয়ে, একগাল হাসিতে আরেকটি সিগারেট এগিয়ে দিতে হয় ।
সে জানে...