তারপর জামিন পাবে পৃথিবী, জামিন পাবো আমিও
একদিন হঠাৎ বিকেলে হাতের জমা কাজ শেষ হলে
ঘুরে দেখে আসবো চিড়িয়াখানা ।
ঘুরে ঘুরে দেখবো যা কিছু দেখা বাকি ছিল এতদিন।
ঘন হয়ে আসা সোনালী শেষ রোদ্দুরটা
স্টিলের নেটে আটকায়নি কোনোদিন।
তবু যারা আটকে গেছে, বেশ ভালো লাগে দেখতে !
বুড়ো হাতিটার পায়ে কিসের যেন একটা ব্যাথা ;
সে যায় হোক, হরিণ গুলোর চারপাশের ঘাস জলের মতো অপচয় হয় ।
ক্ষুধার্ত সারস পাখিটা দেখলাম মাছগুলোর সাথে গল্প করছে,
আমি আর ওদের বিরক্ত করিনি ।
বাড়ি ফেরার সময় দেখলাম বাচ্চা কোলে এক মা শিম্পাঞ্জি ,
অনেকক্ষন এক দৃষ্টে আমার দিকে তাকিয়ে বসে ছিল।
হাতে, মানুষ হাওয়ার প্রিভিলেজড টিকিট ছিল কিন্তু সময় ছিল না আর ভাববার...
আমি আবার জামিন নিয়ে হাসতে হাসতে হারিয়ে গেলাম,
মিলিয়ে গেলাম মানবিক জীবাণুর শহরে ।