মেয়েটির নাম দুশ্চরিত্রা
অনেকের অতি দরদী মন আবার
তার নাম দিয়েছে বেশ্যা
দশকের পর দশক ধরে
সেই মেয়েটি জন্মায়
কোনোএক টালির মুকুটে ঢাকা
শ্যাতশ্যাতে চার দেয়ালের মাঝে
কৈশোরে পা দিয়ে সে আবিষ্কার করে
মানুষ নামক প্রানীর চোখগুলো
কেমন যেন ক্ষুধার্ত বাঘের মতো
কিছু বুঝে ওঠার আগেই
কোন এক অসহায় সময়ে
শিকারী এক বা একাধিক চোখ যুগল
সার্থক হয় তাদের শিকারে
মুহূর্তে ঘটে যায় এক প্রলয়
সমাজের অশেষ উপাধিতে সযত্নে ঢাকা হয়
তার সদ্য ধর্ষিত নগ্ন দেহ
আহা! কত মধুর সে উপাধি
নষ্টা,কুলটা,ধর্ষিতা আরো কত কি
আর সেই অভাগীর স্থান হয় অবশেষে
কোন এক অন্ধ গলির বন্ধ দরজার ওপাশে
এই অবধি ঠিক ছিল
কিন্তু, হটাৎ একদিন
সমাজের উপাধিতে ভূষিত করা
কোন এক গঙ্গাস্নানী পরিচিত মুখ
প্রবেশ করল বন্ধ দরজার ওপাশে
আর হঠাৎই মেয়েটির চোখ চিরতরে খুলে গেল
তার চোখের দিকে তাকিয়ে
সেই এক চোখ,ঠোঁটের কোণে লালসার লালা
অভাগী নিজ মনে বলে উঠল-সেদিনের রাজপথে তুমিই তো ছিলে
ভিন্ন ভিন্ন চেহারায় আমায় নগ্ন করতে।।