সপ্ত সাগর জলধারা তপ্ত হৃদয় খুঁজে,
শান্তনাহীন অতৃপ্ত সুখ অস্তিত্বহীন নিজে।
বুকের মাঝে চিতার অনল দিবানিশি জ্বলে,
বাঁচার আশা কোন ভরসা আঁখি ভাসে জলে।


অন্তরে প্রেম রোপন করে বিশ্বাসে হয় চাষ,
ভাব তরঙ্গে চিত্তোনান্দে জীবন হল লাশ।
ভুলতে গিয়ে স্বরণ করে একি আজব খেলা,
আবেগ যত অনুভবে শান্তি সুখের দোলা।


নব যৌবন সাজায় ভূবন বিকশিত রুপে,
আত্মভোলা পথের মাঝে কাঁদছে বসে চুপে।
দিক বিদিকে ছুঁটা ছুঁটি সঙ্গী বিহীন একা,
কেউ আপন কেউ পর কেউ দিতেছে ধোঁকা।


জগত ঘুরে মায়ার টানে নীড় হারা পাখি,
অসীম আকাশ দিগন্তজোরা শূণ্যে বেঁধে রাখি।
নিত্য আসে নিত্য যায় শিকারি চোখ কত,
মুক্ত স্বাধীন বন্দি খাঁচায় তীঁর বিঁধে আহত।


আদর সোহাগ যত্নে গড়া প্রাণ ভ্রোমরা মোর,
মন বাগিচায় গুন গুনিয়ে উড়ে বেড়ায় দূর।
হিয়ার মাঝে লুকিয়ে রাখি ছয় প্রহরী দিয়ে,
ব্যথা বেদনা সইছি কেবল তার সুখ চেয়ে।