আমি,  আমি এই অবিনশ্বর পৃথিবীর মাঝে,
বহুকাল ধরে বহু পথ চলেছি যেন বহুকাজে।
উদ্দেশ্যহীন অন্তহীন গন্তব্যের শেষটুকু তবে,
নব নিত্য আশার সঞ্চালনে খুঁজেছি কি ভবে?
দেখে যখন মুগ্ধ আমি পাওয়ার জাগে বাসনা,
পেলাম হারালাম আবারো ছুঁটেতেছি অজানা।
কিছু মুখ কিছু কথা কিছু দান অনুদানে জগত,
জয় পরাজয় দূর্বল চিত্তে শক্তি সাহসের হিম্মত।


আমি, আমি বেঁধেছি তার ঘর মিলনের আলিঙ্গনে,
ভাঙ্গিল গড়িল যে মোরে, পুড়াতে চিতার দহণে।
শত কষ্টের মাঝে ব্যথাতুর হৃদয়ে যতনে রেখে,
দায়িত্ব কর্তব্যবোধে সাজাই তাকেই শান্তি সুখে।
মম চিত্তের বেদন অনহণীয় তবু চাই তার হাসি,
আত্মশান্তনা অতৃপ্ত বুকে পুষি বড় ভালোবাসি।
ত্যগের মাঝে অস্থিত্ব বিলীন আপন স্বার্থ ভুলি,
জীবনের গতি থমকে দাঁড়ালেও অবিরাম চলি।


আমি, আমি নিশিদিন ধরে নিজেকে যেন লয়ে,
শঙ্কোচিত মনে সদা থাকি কেন হারানোর ভয়ে।
দোসর খুঁজে বাসর রচিতে পাইনা কারো মিল,
কি বুঝিব? কাকে? কে বুঝবে মোরে? ভাবি জটিল।
পরাণে মিশাইয়াছি স্বপ্ন আশার তুলিতে আঁকা,
বিবর্ণ ধূসর আঁধারে বাঁচি নিত্য আলোর ধোঁকা।
ক্ষণিকের তরে ভাবছি আপন চিরতরে অচেনা,
পরিচয়ের সূত্র বিফল সম্পর্ক গড়িবার বাহানা।


আমি, আমি শিশু কিশোর যুবক বৃদ্ধের বেশে,
ধরণীর বুকে জুয়ার আসরে বাজী ধরি আশে।
নেশার ঘোর কাটাতে মোচন করি জয়ের পথ,
স্বার্থ লোভ কাম ক্রোধ বিকৃত বিবেকের শপথ।
অপকর্মে লিপ্ত সদা দুষিত করি সুশীল সমাজ,
শিহরে উঠে আতঙ্কে মানুষ প্রবঞ্চিত চালবাজ।
শাসন শোষন নিপিড়ণে সদা শান্তির দূত নিধন,
আমার অন্তরে কভু সত্য সুন্দর নেই অন্বেষণ।