আমার অস্থিত্বকে আমি উপলব্দি করেছি তোর থেকে।
যৌবনের পদার্পনে তুই শিখিয়েছিলি আমি একজন পুরুষ।
জীবন বৃক্ষের শাখা প্রশাখাগুলো সবুজ পত্র পল্লবীর মাঝে রঙ্গিন ফুলে ফলে সাজিয়ে দেয়াটাই ছিল তোর কাজ।
শক্তি সাহসের মশাল জ্বালিয়ে ভয়ে অন্ধকার জগত থেকে আলোর ভূবনে নিয়ে এলি তুই।
জীবনের গতিপথে থমকে যাওয়া পাদুখান দুর্দান্ত দাপটের সাথে সম্মুখে অগ্রসর হবার পথ আবিস্কার করে দিলি তুই।
কামনা বাসনার আকুতি মিনতি ধৈর্য্যসহকারে শুনার জন্য পাশে ছিলি তুই।
অফুড়ন্ত চাহিদার অতৃপ্ত আশার সর্বনাশা চিন্তা চেতনাকে হত্যা করে স্বপ্ন পূরুণের লক্ষ্য পৌছানোর অধ্যায়নে কঠোর পরিশ্রমের প্রেরণা দিয়েছিলি তুই।
সাফল্যের চাবি কাঠির সন্ধান দিয়ে জীবনকে পরিপূর্ণ শান্তির নীড়ে সুখের ঠিকানা দিয়েছিলি তুই।
মান অভিমান রাগ অনুরাগ কলহ বিবাদে কখনো পৃথক না হয়ে অটুঁট বন্ধনে একাগ্রচিত্তে কত আঘাত অপমান সহ্য করেছিলি তুই।
হেলা অবহেলা টক মিষ্টি ঝাল খুনসুঁটির মাঝে এত কিছু প্রাপ্তি সঞ্চিত রেখেছিল যে আজ সুদে আসলে সম্পূর্ণ লাভবান এই আমি ক্ষতির লোকসানকে পরাজিত করে বিজয়ের উল্লাসে ভুলে গেছি তোকে।
ভালো থাকিস বন্ধু।
পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকিস যেখানেই চরণ রাখিস তোর পদধ্বনির শব্দ আজো আমার বুকে ভালোবাসার পথরেখা অঙ্কন করে সুনিপুনভাবে।