হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান কে করিয়াছেন সৃষ্টি
জগত জুড়ে একজাতি মানুষ পড়েনা শুভদৃষ্টি।
আল্লাহ ঈশ্বর ভগবান হরি ডাকছিছ দিবানিশি
এক অদ্বিতীয় সত্তা মানুষের অন্তরে আছে বসি।
হিন্দু রাখিয়া মুসলিম নাকি বৌদ্ধু রাখিয়া খৃষ্টান
স্রষ্টার নিকট মানুষ সৃষ্টিতে ছিলনা কভু ব্যবধান।
অতি যতনে সাজিয়ে সুন্দর গড়েছেন কারিগরে
ওরে মানুষ উত্তম হতে ঘৃণা করিস বল তুই কারে।


পিতার ঔরশে মাতৃগর্ভে সাধ্যে কার করবে ধারণ
কৌশল প্রক্রিয়া স্রষ্টার ইচ্ছা দেখিলাম এই ভূবন।
তোর পরিচয়ে গৌরব মর্যাদা খুঁজলি পিতার নামে
কোন পিতা পেয়েছিল সন্তান কিনেছিল কত দামে।
জঠোরে রাখিয়া সে কথা মাতা বলতে পারেনা কভু
কখন কোনদিন তোর অস্থিত্ব ঠাই দিয়েছিলেন প্রভু।
চাইনি আমি হিন্দু হতে চাইনি বৌদ্ধু মুসলিম ভবে
ভালবেসে প্রভু পাঠালেন খৃষ্টান বলিস কেন তবে।


বিপথগামী হয়েছিল মানুষ যুগে যুগে পৃথিবীর বুকে
স্রষ্টার অনুগ্রহে মহামানব এসে ডেকেছিল আলোকে।
কিতাবের দাবী করেনি নবী বলেছেন ঐশ্বরিক বাণী
আদেশ নিষেধ লিপিবদ্ধ সংবিধান বুঝবে যে জ্ঞানী।
ধর্মতলেই নিয়েছিল আশ্রয় পূর্বপুরুষেরা অজ্ঞ মুর্খ
সভ্য যুগে সুশিক্ষিত জাতি ধর্ম নিয়ে করে যুক্তি তর্ক।
মসজিদ মন্দির গীর্জা প্যাগোডায় নিত্য উপাসনায়
ব্রাহ্মণ, প্রাদ্রী, মাওলানা মানুষকে ঘৃণা কে শিখায়।


নিরাকারে রুপ ধরিতে একেছে মানুষের ছবি,
মানুষ ভজলে জগতে তুই সোনার মানুষ হবি।
সৃষ্টি করিয়া ঘোষণা করিল আল্লাহর প্রতিনিধি
শ্রেষ্ট মর্যাদার আদম সেজদার হুকুম দিল বিধি।
জান্নাত হতেই পৃথিবীতে পাঠালেন বাঁচার তরে
ধর্মের বিধানে সত্য ন্যায়ের জীবন সন্ধান ওরে।
ঐশী গ্রন্থ সঠিক পথের সহজ সরল নির্দেশিকা
জাত বিচারে নির্বোধ তুই মানুষ হবি কবে বোকা?