কোন ধর্মকে অবমাননা করার জন্য নয় শুধুমাত্র স্রষ্টার আরাধনা যেন মানব হৃদয় থেকে হয় তা বুঝানোর জন্য এই কবিতা।
তার পরেও যদি কেউ ভুল বুঝে থাকেন তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার বিণীত অনুরোধ রইল।।।।।


তোফায়েল আহমেদ টুটুল


কে বলে দেবতা রয়েছে শুধু মন্দিরে,
সকাল সন্ধ্যা পুজা মাটির মুর্তি গড়ে।
অন্ধ পুজারী সেজন দেখেনি নজরে,
ভগবান রয়েছে বোকা এই বিশ্বজুড়ে।
আরতির ঢালা সাজিয়ে ফুলে ফলে,
ভক্তি সাধিল কেন মুর্তির চরণ তলে?
বিচরণ আকাশে পাতালে জলে স্থলে,
রুপ দর্শণে কি তাঁর অস্তিত্ব কভু মিলে?


কে বলেছে আল্লাহ থাকে ঐ মসজিদে,
নামাজে সেজদা দিল পড়িয়া বিপদে।
সর্বত্র বিরাজমান গোলক ধাঁ ধাঁ বাঁধে,
মুর্খ অজ্ঞানীর প্রার্থণা কাহাকে সাধে?
দিবস রজণী খুঁজিয়া হাদীস কুরআন,
নিরাকারের আকার আকৃতির সন্ধান।
গোপনে প্রকাশে আল্লাহ দয়ালু মহান,
বিশ্বাসে দিদ্বা দন্ধ সন্দেহের অনুমান।


কে বলেছে ঈশ্বর বসে আছেন গীর্জায়,
প্রাদ্রীর অবনত মস্তিষ্ক নিত্য উপাসনায়।
আকুল প্রাণের মিনতি সন্তুষ্টির আশায়,
মানব জীবন বৃথা তাতে কি আসে যায়?
প্রভুকে সেবিতে ব্যস্ত সকাল দুপুর রাত্র,
আপন সত্তার প্রেমে হয়েছে কি প্রিয়পাত্র?
বিশ্ব বহ্মান্ডে মুক্ত স্বাধীন যেজন পবিত্র,
ভেদাবেদ ভুলেনি মানুষ শত্রুতায় মিত্র।


অনন্ত অসীম চিরঞ্জীব স্রষ্টা একজন,
সত্য সুন্দর আনন্দ চিত্তের নিবেদন।
বিশ্বাস ভক্তির প্রেমে অদৃশ্য বন্ধন,
মুসলিম হিন্দু খৃষ্টান সকলে আপন।
আল্লাহ ঈশ্বর ভগবান গাহি গুনগান,
অন্তরে ডাকিতে সদা বাঁধে নাই প্রাণ।
শ্রেষ্টত্বে পরিচয় দিল যত শাস্ত্র বিধান,
মানব হৃদয়ে কভু হয়নি তাঁর স্থান।।