মানুষের মন
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


দেহের ভিতর সত্তা এ কোন মন বলে জানি
মানুষের নিকট ভিক্ষা পেতে চায় অভিমানী।
পাওয়া না পাওয়ার হিসাব কষে দিন রজণী,
কাঁদায় হাসায় আনন্দে নাচায় ক্ষুদ্র অঙ্গখানি
হাত পা অসাড় শক্তি বিহীন মনের টানাটানি,
নয়ন পানে সুন্দর সকল তবুও চোখের পানি।


ভুল করে সে দোষ চাপাল মানুষের দু'কাঁধে,
হতাশাগ্রস্ত জীবনের গতি বিধি উল্টা সিধে।
নাম বদনাম উপহার দিল কলঙ্কের অপবাদে,
হয়না আপন মানুষের কভু সদা ভাবে সুবিধে।
পবিত্র না অপবিত্র সে কামনা বাসনার জিদে,
কুমন্ত্রণাতে কুপথগামী তবুও মিটেনা খিদে।


পাথরের মত কঠিন শক্ত কাঁচের তৈরি মন,
আঘাতে ভেঙ্গে হয় টুকরো জানিনা কখন।
বরফের মত শীতল তবুও উত্তপ্ত সারাক্ষণ,
উষ্ণ মরুর নির্মম প্রান্তরে পাষাণীর আসন।
নির্দয় ভাবে করে যে কেবল নিষ্ঠুর আচরণ,
চিতার অনল জ্বালিয়ে রাখিল বুকের গহন।


আশার তরী হৃদয় তীরে নোঙ্গর করে কত,
আঁখি যুগল অশ্রু ঝরায় দুঃখের অবিরত।
স্বপ্নগুলোর হাতছানি নব সন্ধান দিতে ব্রত,
বিচ্ছেদের বিরহ বেদনা হচ্ছে ক্ষত বিক্ষত।
সুখের পবন শান্তণা দেয় শান্তির পরশ যত,
অশান্ত মন যন্ত্রণাতে তবু কাঁদে নিজের মত।