নিয়তির ডাক শুনতে না পাওয়া
মানুষগুলো ছুটে অজানায়,
লক্ষ্যহীন,উদ্দেশ্যহীন,বন বাদারে
গন্তব্য খুঁজে নদীর কিনারায়।
একূল ওকূল ভেঙ্গে পরেছে যবে
চারিদিকে তার অথৈ জল,
নিয়তির লেখা যায় না কভু দেখা
তবুও দোষ কি তার তুই বল।


আবছা আঁধারে ঢাকিয়াছে জীবন
বিধির কৌশল নিয়তির লেখা,
কেউ কখনো দেখেনি ভাগ্যলিপি
তবুও মুছে দিতেই চায় বোকা।
যথন ভবের হাটেই খরিদ্দার তুই
আসল নকল করতে যাচাই,
অবশেষে পকেট মারে নিলে লুটে
পুঁজি মূলধন কিছুই আর নাই।


ভাবলিনা কথা কর্ম ব্যবহারের সময়
অদৃশ্যে তোর নিয়তি আছে,
স্বার্থের লোভে অন্ধরে তুই এই জগতে
জ্ঞানের আলো নিভে গেছে।
যোগ্য লোকের দোষ ত্রুটি বের করে
অযোগ্যতাকে ঢাকতে সদা,
নির্বোধ মাতে জয় পরাজয়ের নেশায়
সাফল্য থাকে নিয়তিতে বাঁধা।


সাবধান করিতে আসিয়াছে যেজন
ভুলের স্রোতে উজান ভাটি,
বিশ্বাসে তোর কোথায় আছে নিয়তি
চিনে লইতে হলে মানুষ খাঁটি।
শান্তি সুখে দুঃখ ব্যথা বেদনার মাঝে
জীবনের গতি সামনে অগ্রসর,
তাসের ঘরে জুয়ার আসরে খেলিতে
তুই হবিনা কভু মস্ত বাজিকর।