সে কি রুপ, আমি কি রুপ, খুঁজি কোন রুপে কারে?
কে বলবে, কোথায় পাবো, ভবের এই হাট বাজারে?
সে কি সুন্দর অতি, না, কি আমারি রুপের জ্যোতি?
কবে, কখন, আলিঙ্গনে, আমার সাথে তাঁর পিরিতি।
কেউ পারেনি করতে নির্ণয়, নামকরণে যে পরিচয়,
বিশ্বাস, ভক্তি, প্রেম সাধনায়, নিত্য ডাকে কেন হৃদয়?
দেখিতে আকার আকৃতি, ধারণ করে কোন অবয়ব?
ডাকছে আমায় চুপি চুপি, বলছে শুধুই আমার রব।


আপন সত্তা বিলিন করে, আমার মাঝেই লুকায়িত,
নিত্য সঙ্গী কাছে দূরে, রহস্য গোপন এক অনাগত।
খেলছে যে জন আমার সনে, সন্দেহ নেই মনে প্রাণে,
আনন্দ বেদনা চিত্ত মাঝে, কাঁদে হাসে বসে নির্জনে।
একাকী সে আত্মভোলা, কাটেনা তাঁর দ্বিধার দ্বন্দ,
ভাঙ্গা গড়া মনের বিলাস, বোঝেনি কোন ভালো মন্দ।
শ্রেষ্টত্বে যাঁর গৌরবগাঁথা, তাঁর অন্তরে কিসের ব্যথা!
অহমিকা আমার মাঝেই, বলতে তাঁকে প্রেমের কথা।


চিন্তা, চেতনা, ধ্যান ধারণা, করল জানি সেই পথভ্রষ্ট,
নিকৃষ্ট এই মাটির দেহের, আমি কোথায় সর্বোৎকৃষ্ট?
রুপ কারিগর অপরুপে, মিশিয়ে তাঁরি রুপ মাধুরি,
কি সুন্দর এক ভূবন গড়ে! মুক্ত স্বাধীন ছল চাতুরি।
রুপের জালে বন্দি আমি, পাইনা খুঁজে বাঁচার দিশা,
কৃত কর্মে আমিই দোষী, সর্বনাশা কোন রুপ ভরসা?
ইচ্ছেমতো সাজাতে গিয়ে, বাড়িয়ে দিলে কেন দূরত্ব?
আমি যে রুপে সেই রুপেই সে, বুঝিনি কভু এ গুরত্ব।