শান বাঁধানো ঘাটে বসে মুখমন্ডল মাজন,
পাঁড়া গায়ে রূপ কুমারী নাইতে ছিল তখন।
ক্লান্ত দেহে তৃষ্ণার্ত ছাতি রৌদ্রতাপে চৌচির,
পিপাসা মিটাতে জলে রাখাল এসে হাজির।


প্রাণে বড় মায়া লাগে পল্লীবালা হল আকুল,
ঘামে ভেজা অঙ্গ মুছিতে বাড়িয়ে দিল আঁচল।
সেই ছিল প্রথম পরিচয় দুজনার চেনা জানা,
আবেগ প্রবণ অবুঝ অন্তরে প্রেম দিল হানা।


বকুল তলায় শিউলী ফুলে গাঁথিয়াছে মালা,
অধীর হয়ে বসে কত কাটাইত দুজন বেলা।
মাঠের পানে উদাস নয়ন খুঁজে ফিরে সেই মুখ,
ক্লান্ত দেহে শীতল বিশ্রাম আনন্দের মহা সুখ।


কত কি উপহার সামগ্রী করত আদান প্রদান,
পিঠা পায়েস কোরমা পোলাও অমৃত সুধা পান।
শাড়ী চুড়ি চুলের ফিতা আলতা রাঙ্গা লাল,
ভালোবেসে কুমারী উপহার দিল রুমাল।