হে আল্লাহ
তুমি যেটা পাপ বলে মানুষকে পাপী হিসাবে শাস্তির ঘোষণা দিয়েছো,
সেটাতেই আমার পরম তৃপ্তির সুখ নিত্য আনন্দের রহস্য লুকিয়েছো।
তুমি যেটা বিধানে বার বার নিষেধ করে মানুষকে কঠোর সাবধান করেছো,
সেটাতেই আমার অন্তরের আদেশ অনুপ্রাণিত করে ভ্রান্তিতে ফেলে রেখেছো।


হে ঈশ্বর
তোমার সন্তুষ্টির ইচ্ছায় যেখানে মানুষের মঙ্গল কল্যাণের নিশ্চয়তা রয়েছে,
সেখানে আমাকে দুঃখ কষ্টের অফুড়ন্ত বাসনা ব্যথার যন্ত্রণায় অশান্ত রেখেছে।
তোমার আইন কানুন সত্য ন্যায়ের সুপথে মানুষকে আহ্বান করার জন্য প্রণীত,
আমার অজ্ঞতা মিথ্যা অন্যায়কে আকড়ে ধরে পৃথিবীর বুকে হয়েছি প্রতারিত।


হে ভগবান
তুমি সর্বত্র বিরাজ কর সকল সৃষ্টির দ্বারে দ্বারে ভক্তি পুজার আরাধনা করিতে গ্রহণ,
আমি সাধনা সাধিয়া বৃথাই কাঁদিলাম জনম ভরে মিটাতে আমার সকল প্রয়োজন।
তোমার কোনদিন মিলেনি সাড়া প্রমাণ দিতে কেউ পারবেনা বিশ্ব বহ্মান্ডে বুকে,
করুণার দয়া মায়া মমতার ছায়া ধৈর্য্যশীলের বিপদ তাড়িয়ে রাখিতে মহা সুখে।


হে প্রভু
সৃষ্টি করিয়া আমাকে তুমি কর নাই স্বার্থক জীবন পরিচালনায় তোমার অধীন,
গড়িয়াছো ভুলে সংমিশ্রণ সৃষ্টির মুলে আমাকে নাকি করে দিয়েছো তুমি স্বাধীন।
মনের মাঝে ইচ্ছা শক্তি মস্তিস্কে দিয়েছো চিন্তা শক্তির অল্প জ্ঞানের পুঁজি মুলধন,
ভাল মন্দে দিদ্বা দন্ধ কথা কর্ম ব্যবহরে মানুষের সাথে ঠিকঠাক হয়না আচরণ।


হে স্রষ্ট্রা
তোমার সৃষ্টির খুশির জন্য যদি আমি নিজের অস্তিত্ব বিসর্জন দিতে পারি,
তোমার সৃষ্টি কেন আমার সুখের জন্য দয়া দেখাতে পারেনা করে বাহাদুরি।
আমিতো তোমার সৃষ্টির অনুগ্রহ কোন দিন চাইনি চেয়েছি শুধু তোমার করুণা,
তবুও সৃষ্টির দ্বারে দ্বারে আমাকে ভিখারী করে প্রাপ্তির আশার জাগালে বাসনা।


হে পাক পরোয়ার
মসজীদ মন্দির গির্জায় সদা পার্থণায় তোলিয়াছি দুই হাত তোমারই দরবারে ,
ভক্তি সেজদার পুজা অর্চণা একাগ্র চিত্তে তোমার চরণে লুটায়ে পড়ি নত শিরে।
তুমি পাক পবিত্র সত্তার একক অধিকারী আমাকে সৃষ্টি নাপাকী দ্বারা অপবিত্র করে,
প্রশংসায় গুন গান গাই কি করে তোমার জন্ম মৃত্যু অবিধারিত আমাকে করে তিরস্কার।