তুমি যে রাজধানীরর  বুকে প্রজ্বলিত
এক আশ্চর্য প্রদীপ,
শত শিক্ষক  শিক্ষার্থীদের ভালবাসায় মোড়ানো
স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ;
তোমার অদৃশ্য  আলোয় দূর হয় আজ বাংলার
আত্মার অন্ধকার,
বিতাড়ণ ঘটাও এই সমাজ  থেকে সকল
মুখ আর অজ্ঞতার।


শিক্ষাক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে তুমি  এই
ইস্টার্ন  বিশ্ববিদ্যালয়,
দেশি - বিদেশি  নক্ষত্ররাজির মিলনমেলার এক
সুনিপুণ আলয়।
স্নহময়ী শিক্ষক সব মনটা যে
আপনাদের  মহান,
সল্পদেঘ জীবন নাটকে জানিনা রাখছি কতটা আপনাদের  মান।


নিরাপত্তা বেস্টুনি ঘেরা ধানমন্ডিতে অবস্থিত এই
ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়
সবুজে ঘেরা প্রানের ক্যাম্পাস এখন নিরমানাধীন  আশুলিয়ায়।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ারের পাশাপাশি জীবন উপভোগ করারও স্থান,
তাই রয়েছে ১৬ টি ক্লাব যা শতগুন  বাড়িয়ে দিয়েছ  ক্যাম্পাসের মান।
চার বছর পর একটা সার্টিফিকেটই যেন একমাত্র
না হয় অর্জন,
তাই  সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে ব্যাস্ত সবাই সব জীর্ণতা
করে বর্জন ।


কখনও ক্লাসের ফাকে কিংবা ছুটির পরে
ক্যাম্পাসের ছেলেমেয়ে কত,
গ্রাউন্ড ফ্লোরে  বসে আড্ডা মারে
কবুতরের জোড়ার মত।
আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কিছু মহল
ক্লাস  দেয় ফাঁকি,
রবিন্দ্র সরবর কিংবা টি,এস,সি তে  ঘুরে বেড়ায়
হাতে হাত রাখি।


পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ সকল সীমান্তের পাড়ে,
ছড়িয়ে আছে তোমার সুনাম সমস্ত পৃথিবী জুড়ে;
জ্বেলেছো সকল শিক্ষার্থীর মাঝে নৈতিকতার আলো,
তোমার দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে সরাবে সকল কালো।
এক এক দিয়েছ পাড়ি তুমি  চৌদ্দটি    বছর,
শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রেই রেখে চলেছো
সফলতার স্বাক্ষর;
বাংলাদেশের ইতিহাসে লিখা হবে
ইস্টার্ন  বিশ্ববিদ্যালয়,
স্বপ্নময় মানুষ গড়ার তুমি যে  এক দক্ষ কারিগর।


ঠিকই একদিন তুমি পরিয়ে দিবে সোনার মুকুট
বাংলাদেশের মাথায়,
নিয়মিতই  তোমার নামটি খুজে পাই  সংবাদের
পাতায় পাতায় ।
আজ এই শুভ দিনে তোমায় জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা,
দিয়েছো তুমি অনেক কিছু সরিয়ে সকল জীর্ণতা;
গর্বিত আজ আমরা সবাই তোমাকে আঁকড়ে ধরে,
ভালবাসা আর শ্রদ্ধায় থাকবে তুমি মনের মাঝে
সমস্ত জীবন জুড়ে।