এই পৃথিবীর বুকে আমি
মাত্রাহীন এক ছায়ামানব।
প্রতিটি দিনের সমাপ্তিতে শুরু হয়
আমার  স্বপ্নের মৃত্যুর আয়োজন।
দৃশ্যমান দুচোখে আলো কমে আসে
মৃত্যু খুব কাছে চলে আসে।
মৃত্যু কে দেখি আমি, মৃত্যু-ঘুড়ি
তার সুতো বেয়ে নেমে আসে আদিম বিষণ্ণতা,
মৃত্যু, জন্ম নেয় আমার কলমে,
আপেক্ষিক আনন্দ হয়ে,
যেমন নিস্তব্ধ ভূমিতে শিশির শুয়ে পড়ে শরীর ছেড়ে,
শব্দরা ভ্রমণ করতে করতে নৈঃশব্দে রূপ নেয়।


মৃত্যু মানে কি শুধু
আর কবিতা না লিখতে পারা ?
মৃত্যু মানে আর কখনো উড়তে না পারা?
দৃষ্টি-শূন্য চোখে আমার অদৃষ্টকে খোজ়া?
নিঃশব্দ ছুটির ঘন্টার পর একাকী পথে পথে হাটা?
তবে আমার মৃত্যুই শ্রেয়,
পারছিনা বরন করতে -
প্রতিনিয়ত একঝাক স্বপ্নের নীলমৃত্যু!
কি আর হবে-
হয়তো আমার মৃত্যুতে
আমার শবের উপর কয়েকটা কালো গোলাপ
রেখে কিছুক্ষনের মৌনতা ,
হলেও হতে পারি কারো সস্তা চোখের জলে সিক্ততা
কিংবা জিহবার কিনারে পানি এসে যাবে
কিছু বুনো শকুনের!
অনেকদিন ক্ষুধার্ত থাকার পর-
মেতে উঠবে খাদ্যের রক্তরাঙ্গা মহোৎসবে!


আত্মার মৃত্যু হোকনা যত বেশি  নিষ্ঠুর
তবুও প্রতিনিয়ত আমি  প্রচেষ্টা চালায়
তাকে আলিঙ্গনের বাঁধার!
কিন্তু  মৃত্যুদূত মুচকি হেসে চলে যায়
আমার জন্য উপহার রেখে যায়
মৃত্যুহীণ এক স্বপ্নের নীল মৃত্যু যন্ত্রণা!