মুখোশ
তুলোশী চক্রবর্তী


সব কৃত্রিম মুখ গুলি প্রকাশিত হোক
দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হোক একবার,
যাদের অন্তরে বিষাক্ত আগুন বাইরে মধুর ফাগুন
ইচ্ছে হয় তাদের মুখোশহীন রুপ দেখবার।


অধরে মিষ্টি হাসি, ঝলমলে সাঁজ 
নকল ব্যবহারে অনন্য,পোশাকে বাবুয়ানা,
মন যে আছে কতো কয়লা কালো 
আমার আতসকাচে দেখাই যায় না।


পরনিন্দা পরচর্চা করে দিনরাত
সম্পত্তি দেখে বাড়ায় সমন্ধ্যের হাত
নিজ দেহটাকে সাজায় মিনিটে মিনিটে
 পারফিউমে খুব যত্ন করে 
তারা কি জানো? মনুষ্যত্বের স্থান 
জগতে সবার উপরে।


যত খল চাতুরি করে তারা মিথ্যেকে প্রমান করতে 
হয়তো ততো চাতুর্য্য লেখাও নেই কোনো ইতিহাসে,
জানা ছিলোনা এতকাল এই মুখোশের দুনিয়ায় ,
মুখোশ এর ভেতরে মানুষের আসল রুপ দেখা যায়।
আমি না বুঝে মুখোশ টাকে ভালোবেসেছি চিরকাল ,
তাই আসল রুপটাকে দেখে হয়ে যাই বেহাল।


কিন্তু আমার বিশ্বাস সত্য হারে না
হাজার বছর পরেও ঠিক প্রকাশিত হয়
তাই মুখোশ দেখে আর পাইনে ভয়।