তখন আসিল হেমন্তক্ষণ
রঙিন সূর্য বেলা;
কোন অছিলায় ছিলে গো বন্ধু-
আমার দরজা খোলা।
বহুদিন পরে তুমি এলে কাছে
দেখেছি তোমায় চেয়ে;
আমার মনের সকল বাসনা
আসিল তখন বেয়ে।


তুমি এসে সেই নব ভঙ্গিতে
দাঁড়ালে আমার চোখে;
চেয়ে চেয়ে শুধু দেখে গেছি আমি
তোমারেই অপলকে।
বলেছ আমায় আপনার কথা
শুনেছি মনটি দিয়ে;
আড়ে আড়ে শুধু দেখেছি তোমায়
ওগো ও সোনার মেয়ে।


চন্দ্রিমা জোড়া মুরতি তোমার
সোহাগ বদন খানি;
বারে বারে যেন দেখে গেছি আমি
মনের কাছেতে আনি।
সিঁথির মাঝেতে সিঁদুরের টিপ
বদন জোড়া সে হাসি;
মনে হয় বলি কাছেতেই ডেকে
তোমাকেই ভালোবাসি।


কানে দোলে ওই হাতের কাজের
দুখানি আপন পাশা
কণ্ঠে তোমার শোভিছে যে প্রিয়
আমার সকল আশা।
নবরূপে আজ সাজিয়াছ তুমি
তোমার আঁচল মাঝে;
আজ বুঝি আমি বাঁধা পরে গেছি
হেমন্তের এই সাঁঝে।


তোমার কাছেতে যা ছিল আপন
আমারে দেখালে এসে;
কোথা ছিলে তুমি! এতদিন ধরে
ছিলে বুঝি দূর দেশে।
আমার খবর নিয়েছ যে তুমি
চুপি চুপি অনায়াসে।
কীবা সে চাহুনি কীসের মহিমা
আমার মনেতে ভাসে।


তুমি এসে আজ চলে যাবে জানি
আছে যে তোমার কাজ;
তোমারে দেখিয়া হয়েছি নীরব
স্তব্ধ রয়েছি আজ!
তোমাতে চাহিয়া তোমাকে দেখিয়া
মুখ ঢাকি লজ্জায়;
শুধু ভাবি প্রিয়, সেদিন  আসোনি
এ বাসর সজ্জায়!
    ------


* কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা।