ছন্দ ও কবিতার পাঠ –<পর্ব-৬, ভাগ-৫৫> – ছন্দের আকৃতি বা রূপভেদ  
---ড. সুজিতকুমার বিশ্বাস  
-------------------------------------------------------------------------------
আজকের পাঠ – অমিত্রাক্ষর ছন্দ
------------------------------------------------------------------------------
আজকের পাঠ উৎসর্গ করা হল - আসরের প্রিয়কবি বৃষ্টি মণ্ডল মহাশয়াকে।            
------------------------------------------------------------------------------
অক্ষরবৃত্ত রীতিতে রচিত প্রধানত ১৪ মাত্রার চরণ সমন্বিত যে পয়ার বন্ধে চরণান্তিক মিল থাকে না, পর্ব বা চরণ শেষে ছেদ আবশ্যিক নয়, এবং ভাবটি চরণের পর চরণে স্বচ্ছন্দে প্রবাহিত হয়, মধুসূদন সৃষ্ট সেই নতুন ছন্দ রীতিকে বলা হয় অমিত্রাক্ষর ছন্দ।
যেমন-
"সম্মুখ সমরে পড়ি বীর চূড়ামণি
বীরবাহু, চলি যবে গেলা যমপুরে
অকালে, কহ হে দেবী, অমৃত ভাসিণি,
কোন বীরবরে বরি সেনাপতি পদে"


বৈশিষ্ট্যঃ
১) চরণান্তিক মিলের অনস্তিত্ব; বা মিত্রাক্ষরহীনতা;
২) ছেদ ও যতির অনৈক্য
৩) ভাবের স্বচ্ছন্দ প্রবহমানতা।
৪) চরণের মধ্যে অনুপ্রাস ব্যবহৃত
৫) অমিত্রাক্ষর অক্ষরবৃত্ত ছন্দের উপর প্রতিষ্ঠিত।


***আজ এই পর্যন্ত। তবে চলবে।
------------------------------------------------------------------------------
সূত্র/ ঋণস্বীকার- ১) বাংলা ছন্দঃ রূপ ও রীতি – মিহির চৌধুরি কামিল্যা      ----------------------------------------------------------------------------
আসরের কবিদের কাছে আমার অনুরোধঃ এই আলোচিত পর্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে নীচে সযত্নে উল্লেখ করবেন। তাছাড়া কোনো গঠনমূলক মতামত থাকলে আন্তরিকভাবে জানাবেন।