ছন্দ ও কবিতার পাঠ –<পর্ব-৫, ভাগ-৪৭> – অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নানা বৈচিত্র্য
---ড. সুজিতকুমার বিশ্বাস  
------------------------------------------------------------------------------
আজকের পাঠ উৎসর্গ করা হল - আসরের প্রিয়কবি বিভূতি দাস মহাশয়কে।          
------------------------------------------------------------------------------
আজ অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নানা বৈচিত্র্য দেখে নিই।


১) ত্রিপদীঃ
ক) লঘু ত্রিপদীঃ
পর্ববিন্যাস ৬/৬/৮ মাত্রায়
"কলঙ্কী বলিয়া /ডাকে সব লোকে
তাহাতে নাহিক দুখ।"
খ) দীর্ঘ ত্রিপদীঃ
পর্ববিন্যাস ৮/৮/১০ মাত্রায়
"শুন ভাই সভাজন /কবিত্বের বিবরণ
এই গীত হৈল যেন মতে।"


২) চৌপদীঃ
ক) লঘু চৌপদীঃ
পর্ববিন্যাস ৬/৬/৬/৫ মাত্রায়
"গৌরাঙ্গ বলিয়া
কান্দিয়া কান্দিয়া
পাগল হইয়া
কখনে যাব।"
খ) দীর্ঘ চৌপদীঃ  
পর্ববিন্যাস ৮/৮/৮/৭ মাত্রায়
"ভরদ্বাজ অবতংস
ভূপতি রায়ের বংশ
সদা ভাবে হত কংস
ভুরসুটে বসতি।"


৩) পয়ার/ প্রবহমান পয়ার
পর্ববিন্যাস ৮/৬ মাত্রায়
"মহাভারতের কথা/ অমৃত সমান
কাশীরাম দাস কহে/ শুনে পুণ্যবান"
৪) মহাপয়ার/ প্রবহমান মহাপয়ার
পর্ববিন্যাস ৮/১০ মাত্রায়
"নাহি জানি কার দ্বারে/ দাঁড়াবে বিচারের আশে
দরিদ্রের ভগবানে /বারেক ডাকিয়া দীর্ঘশ্বাসে। "
৫) অমিত্রাক্ষর
৬) মুক্তক
৭) গদ্য কবিতা
৮) চতুর্দশপদীঃ (সনেট)
এই বিষয় গুলি নিয়ে পরের পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দে ৮ মাত্রার পর্বকে কখনও কখনও ৪/৪ এ ভাগ করে দেখানো হয়। কিন্তু ৬ মাত্রাকে ভাগ করে দেখানো হয় না।


***আজ এই পর্যন্ত। তবে চলবে।
------------------------------------------------------------------------------
সূত্র/ ঋণস্বীকার- ১) বাংলা ছন্দ রূপ ও রীতি – মিহির চৌধুরি কামিল্যা।    
----------------------------------------------------------------------------
আসরের কবিদের কাছে আমার অনুরোধঃ এই আলোচিত পর্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে নীচে সযত্নে উল্লেখ করুন। তাছাড়া কোনো গঠনমূলক মতামত থাকলে আন্তরিকভাবে জানাবেন।