ছন্দ ও কবিতার পাঠ –<পর্ব-৫, ভাগ-৪৯> – অক্ষরবৃত্ত ছন্দের আরও কিছু  
---ড. সুজিতকুমার বিশ্বাস  
------------------------------------------------------------------------------
আজকের পাঠ উৎসর্গ করা হল - আসরের প্রিয়কবি গৌরাঙ্গসুন্দর পাত্র মহাশয়কে।            
------------------------------------------------------------------------------
অক্ষরবৃত্ত ছন্দের আরও কিছু আজ জেনে নিই।
১) প্রতিটি বর্ণ বা অক্ষর একমাত্রা বহন করে;
২) এখানে চোখের হিসাব নিকাশটিই আসল কথা;
৩) যে বর্ণে মাত্রা (উপরে দাগ) আছে, সেটিই তার মাত্রা; 'অ' অক্ষরে মাত্রা আছে তাই একমাত্রা। 'ৎ' অক্ষরে মাত্রা নেই, তাই এর মাত্রা স্বাভাবিকভাবে ধরা হয় না। (ব্যতিক্রম আছে)
৪) যুক্তবর্ণেও একমাত্রা। 'ক্ষ', 'স্ক' ইত্যাদি।
৫) 'ও' মাঝে শূন্য, প্রথমে একমাত্রা। যেমন 'খাওয়া' 'দাওয়া' ২ মাত্রা করে।
৬) 'ঙ', 'ৎ' শেষে থাকলে একমাত্রা, মাঝে ০ মাত্রা। যেমন 'উৎস' ২ মাত্রা, কিন্তু 'উচিৎ' ৩ মাত্রা।
৭) এই ছন্দে শব্দের মাত্রা গণনায় নিয়মের চেয়ে কানের খুশিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।
৮) এই ছন্দে পর্বে একমাত্রা কম বা বেশি হলে সহজে ধরা পড়ে না।
৯) শব্দের যে কোনো উচ্চারণ ধ্বনিকেই অক্ষরবৃত্তে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া যায়।
১০)  শিশু-কিশোরদের চপল-চঞ্চল চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য এই ছন্দ তেমন উপযোগী নয়। জুতসই শব্দ চয়নের সফল প্রয়োগ এর মাধ্যমে সম্ভব।


***আজ এই পর্যন্ত। তবে চলবে।
------------------------------------------------------------------------------
সূত্র/ ঋণস্বীকার- ১) ছন্দের সহজপাঠ- সুজন বড়ুয়া।      
----------------------------------------------------------------------------
আসরের কবিদের কাছে আমার অনুরোধঃ এই আলোচিত পর্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে নীচে সযত্নে উল্লেখ করুন। তাছাড়া কোনো গঠনমূলক মতামত থাকলে আন্তরিকভাবে জানাবেন।